"There will be no workers in the BJP in the coming days."

‘‌আগামী দিনে বিজেপিতে কোনও কর্মী থাকবে না’‌, বিধায়কের মন্তব্যে গেরুয়া দলে অস্বস্তি তুঙ্গে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিজেপিকে কি তাহলে বাংলায় সংগঠন ধরে রাখতে পারছেনা না ? দু’‌দিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেননি বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এমনকী দলের অন্যান্য বৈঠকেও গরহাজির থেকেছেন তিনি। এবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বেসুরো গেয়ে উঠলেন। যা বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল। সরাসরি তোপ দাগলেন দলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে কর্মীরা কেউ আর বিজেপিতে থাকবেন না।’ এই মন্তব্য নিয়ে এখন জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বে চর্চা তুঙ্গে।

কিন্তু কেন এমন মন্তব্য করলেন তিনি?‌ দলীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বনগাঁর বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী ঋষভ অধিকারী ও তাঁর মা। এই ঘটনায় দলের নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হযে বলেন, ‘বিজেপিতে কর্মীরা কেন থাকবেন? যেসব কর্মীরা (ঋষভ) দল করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল, আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তাঁর বা তাঁদের মৃত্যুতে বিজেপি নেতাদের সময় হল না বাড়িতে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর। শ্মশানেও দলের কাউকে দেখা যায়নি। তাই আগামী দিনে বিজেপিতে কোনও কর্মী থাকবে না।’ এই উদাহরণ তুলে ধরে এমন মন্তব্য করায় পদ্মফুল শিবিরে তুমুল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন :  আজ ত্রিপুরায় অভিষেক, তার আগেই আগরতলায় ছেঁড়া হল পোস্টার

এই ঘটনা নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বনগাঁয় বৈঠক করতে এলেন, নেতৃত্বের উচিত ছিল তাঁকে ঋষভের মৃত্যুর ঘটনাটি জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া।’ বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াও অনুপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে। বিশ্বজিৎ গিয়েছিলেন ঋষভের বাড়িতে। এমনকী ছিলেন শ্মশানেও।

বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, ‘ঋষভ মারা যাওয়ার পর তাঁর বাড়িতে দু’জন মণ্ডল সভাপতি গিয়েছিলেন। বিশ্বজিৎবাবু তো জেলার সহ–সভাপতি। তাঁরও উচিত ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো। আলোচনাও করতে পারতেন।’ আগামী দিনে বিজেপিতে কোনও কর্মী থাকবে না এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ। তবে বিষয়টি জেলা নেতৃত্ব লিখিতভাবে নালিশ ঠুকেছেন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে।

অনেকে বলছেন লোকের দল ভেঙে নিজের দল বানানোর নরেন্দ্র মোদীর ফর্মুলা যে এইভাবে বুমেরাং হয়ে যাবে তা বিজেপি কল্পনাও করতে পারেনি। ঘাসফুল যে এইভাবে পদ্মের বাগানের বেহাল দশা করে ছাড়বে তও বুঝে উঠতে পারেননি শাহ-মোদী।

আরও পড়ুন : আবির, অর্পিতা , তনুশ্রী, রুদ্রর কি দেখা হবে ‘আবার বছর কুড়ি পরে’? প্রকাশ্যে ঝলক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest