Site icon The News Nest

ঘরের ভিতর জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট! খড়দহে মৃত্যু হল শিশু-সহ একই পরিবারের তিন

waterlogged

ঘরের মধ্যেই মৃত্যুফাঁদ! জমা জলে (Waterlogged) মর্মান্তিক পরিণতি হল একই পরিবারের তিন সদস্যের। মৃত্যু হল এক শিশুরও।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহে (Khardah) রহড়া থানার অন্তর্গত পাতুলিয়া সরকারি আবাসনে (পুলিশ কোয়ার্টার)। মৃতদের নাম রাজা দাস (৩৫), পৌলমী দাস (৩০) তাদের একমাত্র পুত্র শুভ দাস(১১)। অভিযোগ, এই এলাকায় প্রতিবছ বর্ষায় জল জমে। ঘরের মধ্যে জল ঢুকে যায়। এবারও তেমনই হয়েছিল।

মঙ্গলবার ওই তিন জনকে তাদের ঘরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকার মানুষজন তাদের উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বি এন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের তিন জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই বাড়ির গৃহকর্তা রাজা দাস। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই বাকি দুজনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁদের চার বছর বয়সি একটি ছোট ছেলেও রয়েছে। সে বেঁচে আছে।
অন্যদিকে, তিনদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন টিটাগড়ের একাধিক এলাকা। সেই জলেই পড়েছিল বিদ্যুতের ছেঁড়া তার। আর সেই তারে পা পড়তেই মৃত্যু হল এক স্কুল পড়ুয়ার। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার মোহনপুর উত্তরপাড়া এলাকায়।মৃত কিশোরের নাম হীরালাল রায় (১৫)। সে শিউলি গোসাইপাড়ার বাসিন্দা। শান্তিনগর হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। জানা গিয়েছে, তার দিদিকে কোচিংয়ে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল হীরালাল।
তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে সেই রাস্তায়। সেই রাস্তাতেই জলের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। রাস্তায় জমা জলে পা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই ছাত্র।দেহটি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে পড়েছিল। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন টিটাগড় থানার পুলিশ এবং বিদ্যুৎ কর্মীরা। তাকে উদ্ধার করে ডক্টর বিএন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
Exit mobile version