একাধিক জেলায় বাজ পড়েছে। আর তার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে একদিনে এত মানুষের মৃত্যু আগে ঘটেছে কিনা তা কেউ মনে করতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা৷ রাজ্যের পক্ষ থেকেও ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : এবার ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচি নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা, এবার কেবল ফোন কল
হুগলি, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া– বজ্রাঘাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিপুরে বাজ পড়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা হলেন— দুর্যোধন দাস (৩৫), মাজাহারুল শেখ (১৬), হান্নান শেখ, সুনিল দাস এবং সাদ্দাম শেখ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। সুতি থানার আইরনে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বহরমপুরে বজ্রাঘাতে অভিজিৎ বিশ্বাস (৪০) এবং প্রহ্লাদ মুরারি (৪২) নামে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে অরুন মণ্ডল (৪০) নামে এক ব্যক্তির চন্দ্রকোনায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, অরুন মণ্ডল পেশায় কৃষক। চন্দ্রকোনার হীরাধরপুর এলাকায় অর্চনা রায় (৩৫) নামে এক মহিলার বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। হুগলিতেও এই ঘটনা ঘটেছে। পোলবায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে হারুন রসিদ (৪০) নামে এক ব্যক্তির। হুগলির নসিবপুর গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় সুস্মিতা কোলে (৩২) নামে এক মহিলার। বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষক মহিলার। বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে তারকেশ্বর থানার চাঁপাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সঞ্জীব সামন্ত (৪৩) ও হরিপাল থানার দিলীপ ঘোষ (৫০) নামে এক কৃষকের। প্রাকৃতিক দুর্যোগে একসঙ্গে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম হেমন্ত গুছাইত (৪২), মালবিকা গুছাইত (৩২), কানাই লহরী (৭৬), আনন্দ রায় (৩৫) এবং শিশির অধিকারী (৭২)। গোঘাটের নরসিংহবাটীতেও বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় আনন্দ রায় (৩৫) নামে এক ব্যক্তির।
আরও পড়ুন : ‘মারব এখানে লাশ পরবে শ্মশানে…’, মহাগুরুর ডায়লগ-যন্ত্রণা এবার পৌঁছাল হাইকোর্টে