নওশাদ সিদ্দিকির জয়লাভের পিছনে থাকা দুই ISF শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার পুলিসের

ভাঙড়ে আই এস এফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকির জয়লাভ করার পিছনে শরিফুল ও মিন্টু শিকারীর বড় ভূমিকা আছে। তাই হারের প্রতিশোধ নিতে তৃণমূল পুলিসকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে দাবি করেছে শরিফুল মোল্লা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রথম সারির দুই আই এস এফ শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতেরা ভাঙড় ১ ব্লকের আই এস এফ সভাপতি শরিফুল মোল্লা ও সম্পাদক মিন্টু শিকারী। সোমবার রাতে বড়ালির বাড়ি থেকে শরিফুলকে গ্রেফতার করে ভাঙড় থানার পুলিস। তার ঠিক আগের দিন অর্থ্যাৎ রবিবার ভাঙড়ের রানীগাছি গ্রাম থেকে পুলিস গ্রেফতার করে মিন্টু শিকারীকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি, রাস্তা অবরোধ, লুটপাঠ সহ একাধিক অভিযোগ আছে ভাঙড় থানায়, জানিয়েছে পুলিস। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই পুলিস তাঁদের খুঁজছিল বলে খবর। তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকেই ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড়ের রানীগাছি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মিন্টু শিকারীকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি, রাস্তা অবরোধ, লুটপাঠ–সহ একাধিক অভিযোগ আছে ভাঙড় থানায়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ তাদের খুঁজছিল। তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকেই ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরিফুল বিধানসভা নির্বাচনে ক্যানিং পূর্ব ও ভাঙড় বিধানসভার দায়িত্বে ছিল। নওশাদ সিদ্দিকির জয়ের কারিগর এই দু’‌জন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : Dev: দেবের হাতে কোভিড হাসপাতালের উদ্বোধন ডেবরায়

আই এস এফ নেতৃত্বের দাবি এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করছে। ভাঙড়ে আই এস এফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকির জয়লাভ করার পিছনে শরিফুল ও মিন্টু শিকারীর বড় ভূমিকা আছে। তাই হারের প্রতিশোধ নিতে তৃণমূল পুলিসকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে দাবি করেছে শরিফুল মোল্লা।

শরিফুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে আমাকে আর মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ভোটে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতে তৃণমূল পুলিসকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। পুলিস তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।‘ ধৃত সরিফুল কে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট তথা সংযুক্ত মোর্চায় শামিল হয়ে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ খাতা খুলছে ভাঙড়ে। তৃণমূল প্রার্থী রেজাউল করিমের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল সিদ্দিকি। বলা যায়, ২০০-র বেশি আসনে জিতে  ভাঙড়ের কাঁটা পার করতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল। ঠিক সেই কারণেই কী গ্রেফতার ISF-র দুই শীর্ষনেতা? অবশ্য এমন অভিযোগকেই সামনে আনছেন  ISF সমর্থকরা।

আরও পড়ুন : রাতে ভালো ঘুমিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে Buddhadeb Bhattacharjee-র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest