Two people died in Kamarhati, said Swasthya Bhavan

কামারহাটিতে আন্ত্রিকে মৃত্যু ২ জনের, বিবৃতি দিল স্বাস্থ্যভবন, NICED-এর অধিকর্তার দাবি, কলেরার জীবাণুর কারণেই ডায়েরিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কামারহাটিতে ২ জনের মৃত্যু আন্ত্রিকে (Diarrhoea) নয়, হয়েছে অন্য কোনও কারণে। মঙ্গলবার রাতে বিবৃতি জারি করে জানাল স্বাস্থ্যভবন। তবে কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায় যে আন্ত্রিকের প্রকোপ ছড়াচ্ছে, তা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭০ জন পেট খারাপ, বমির মতো উপসর্গ নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন।তাঁদের অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ১১ জন ভরতি হাসপাতালে।আন্ত্রিক মোকাবিলায় তড়িঘড়ি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে। সেইমতো আজ থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে হেলথ ক্যাম্প।

মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যভবনের (Swasthya Bhaban) তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) ৭২ বছরের যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালে, তাঁর হাইপারটেনশন অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির সমস্যা ছিল। তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে এগুলিকেই দায়ী করা হচ্ছে। ৫০ বছরের এক মহিলারও মৃ্ত্যু হয়েছে কিডনির সমস্যাজনিত (Renal Failure) কারণে। কারও মৃত্যুই ডায়রিয়ায় হয়নি বলে বিবৃতিতে দাবি স্বাস্থ্যভবনের।

উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে ডায়েরিয়ার প্রকোপ! মৃত্যুর খবর একের পর এক। অসুস্থ অসংখ্য। গতকাল রাত পর্যন্ত শতাধিক রোগী এসেছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বমি…পেট ব্যথার মতো উপসর্গ। সচেতনতা বাড়াতে, এলাকায় চলছে প্রচার! এই পরিস্থিতিতে, National Institute of Cholera and Enteric Diseases বা NICED-এর অধিকর্তার দাবি, সম্ভবত কলেরার জীবাণুর কারণেই এই ডায়েরিয়ার প্রকোপ।

নাইসেড  অধিকর্তা শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, ‘ উত্তর ২৪ পরগনা থেকে যেটুকু স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছিল তাতে কলেরা পেয়েছি।’ রাজ্য সরকারের তরফে সহায়তা চেয়ে তাঁদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন NICED-এর অধিকর্তা। তাঁর আক্ষেপ, ‘রাজ্য থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যেহেতু স্বাস্থ্য হল রাজ্যের আওতাধীন। তাই আমাদের না বলা হলে, বা সাহায্য চাওয়া না হলে কিছু করতে পারি না। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে স্যাম্পেল পাঠিয়েছে। আমরা দু’এক জায়গায় স্যাম্পেল থেকে কলেরার জীবাণু পেয়েছি, দুঃখের যে, এখানে একটা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট থাকা সত্ত্বেও সেটাকে ব্যবহার করা হয় না।’

আরও পড়ুন: মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ, শীর্ষে উত্তরপ্রদেশই

কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, “কী কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি এবং ডাক্তাররা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা প্রতিদিন ওই এলাকাগুলিতে এক লক্ষ ম্যারিনেট করা খাবারের প্যাকেট পাঠাব। জল ফুটিয়ে দেব।কলকাতার টালা পার্ক থেকে জল আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের একটি ওয়ার্ড ডায়রিয়া রোগীদের জন্য নেওয়া হয়েছে। আরও দুটি ওয়ার্ড তৈরি রয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে সেখানে চিকিৎসা চলবে। এলাকায় এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অসুস্থ হলে প্রত্যেকেই যাতে দ্রুত চিকিৎসা পান, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।”

আরও পড়ুন: ‘তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে’, উৎসবের মরশুমে বাড়িতেই থাকার অনুরোধ মেয়রের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest