রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কোথায়? প্রশ্ন বিজেপি-র অন্দরে। দলের অনেকে বলছেন, ডোমজুড়ে পরাজয়ের পরে দলের সঙ্গে রাজীবের সে ভাবে যোগাযোগই নেই। বস্তুত, বিজেপি-র শীর্ষনেতাদের একাংশের অনুমান, নতুন দলের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করে তিনি পুরনো দল তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন। সে দাবি তৃণমূল শিবিরও করছে। তাদের বক্তব্য, প্রথমে রাজীব বিভিন্ন জনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছিলেন। এখন নিজেই যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, রাজীবের মতোই যোগাযোগ শুরু করেছেন ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া এবং পর্যায়ক্রমে ভোটে পরাজিত প্রবীর ঘোষালও। তবে প্রবীর বলছেন, ‘‘বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমি এখন রাজনীতি করছি না। সমাজসেবা করব। ভবিষ্যৎ কী হবে জানি না।’’ ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাজীব-প্রবীর সম্পর্ক ভাল। প্রবীর জানিয়েছেন, রাজীবের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে।
আরও পড়ুন : বিজেপি ছাড়ছেন ১৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, তৃণমূলে ফেরার হিড়িক
২ মে ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল। এর পরে ২ জুন পর্যন্ত এক মাসে রাজীব নাকি বিজেপি-র কোনও বৈঠকেই হাজির হননি। হেস্টিংসে বিজেপি অফিসে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট ঘর তো দূরের কথা, কোনও ভার্চুয়াল বৈঠকেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না বলেই দাবি করছেন পদ্মনেতারা। ভোট-পরবর্তী গোলমাল নিয়ে বিজেপি সরব হলেও ডোমজুড়ে যে সব কর্মীরা আক্রান্ত বলে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের পাশেও দেখা যায়নি তাঁকে। অন্তত প্রকাশ্যে। ইয়াস ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিজেপি-র পক্ষ থেকে সব বিধায়ক ও প্রার্থীকে নিজের নিজের এলাকায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ডোমজুড়ের বিজেপি কর্মীদের দাবি, রাজীবকে সেখানেও দেখা যায়নি।
রাজীব যে তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন সেটা রাজ্য বিজেপি নেতারা আড়ালে স্বীকার করলেও এখনই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন তৃণমূলের ফিরতে চান বলে প্রকাশ্যে বলায় অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। সেই কারণে ‘চেনামুখ’ রাজীবকে নিয়ে আপাতত চুপ থাকার সিদ্ধান্ত। এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে করে বিধানসভা ছাড়ার মধ্য দিয়েই রাজীব অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা সে সব দেখে, বুঝেও কিছু বলেননি। রাজীবকে সত্যি সত্যিই মাথায় করে রাখা হয়েছিল। এখন বিপদের সময় তাঁর টিকিটি দেখা যাচ্ছে না।’’রুদ্রনীল বলেন, ‘‘আমি রাজীবদাকেও ফোন করেছিলাম। কিন্তু দলের সকলের সঙ্গে কথা হলেও রাজীবদা এখনও যোগাযোগ করেননি।’’