হ্যাটট্রিক করে বুধবার শপথ নিতে চলেছেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের শপথগ্রহণের পালা শেষ হলেই শুরু হবে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রবিবার ভোটের ফলপ্রকাশের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে এখন কোভিড মোকাবিলা করাই অগ্রাধিকার। সম্ভবত সেই কারণেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শপথ নিতে চাইছেন তিনি। অতি মহামারি পরিস্থিতির জেরে কোনও জাঁকজমকপূর্ণ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসা উপলক্ষে আড়ম্বরহীন অনুষ্ঠান চান তিনি। এমনটা জানিয়েছিলেন সোমবার বিকেলেই। এরপর তৃণমূলের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করা হয়, আগামী পরশু অর্থাৎ ৫ মে বুধবার শপথগ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হতে পারে ৯ মে।

আরও পড়ুন : WB election 2021: আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন, প্রার্থী না হয়েও লেটার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ ‘ভাইপো’

সোমবার তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বুধবার ৫ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের একটি সূত্রের মতে, বুধবার রাজভবনে গিয়ে একাই শপথ নিতে পারেন দিদি। তার পর দিন থেকে বিধানসভায় বিধায়কদের শপথগ্রহণের পর বাকি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা তৈরি হবে তথা বাকি মন্ত্রীদের শপথ পাঠ হবে।

অনেক নতুন মুখ বিধানসভায় এসেছেন। দল যখন সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তখন অনেকেই প্রবল আনুগত্য দেখিয়েছেন ও লড়াই করেছেন। তাই পরিস্থিতির দাবি মতোই এবারের মন্ত্রিসভা আগের দুই মন্ত্রিসভার তুলনায় অন্যরকম হতে পারে। নবীন ও প্রবীণের মধ্যে সুষ্ঠু ভারসাম্য রাখার চেষ্টা হতে পারে।

সোমবার পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করার কথা মমতার। দিদির কথায়, “আমাকে আগে ইস্তফা দিতে হবে। তার পর আবার শপথ নিতে হবে”। বস্তুত সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী সেটাই দস্তুর।আগামী পাঁচ বছর রাজ্যে বিধানসভার স্পিকারের পদে থাকবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়কই বাকি বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

গোটা রাজ্যে ২০১৩ টি বিধানসভা আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন হাজারদুয়েক ভোটের ব্যবধানে। এই নিয়ে তৃণমূলের এখনও কিছু দাবি-দাওয়া থাকলেও তৃতীয়বার শপথগ্রহণ আটকাচ্ছে না মমতার। বাকি বিধায়করা মিলে তাঁকেই মনোনিত করেছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ তিনি নিতেই পারেন, তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে হবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে।

মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের শপথগ্রহণের পালা শেষ হলেই শুরু হবে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি। তবে এ বারের মন্ত্রিসভায় যে বেশ বড়সড় কিছু রদবদল দেখা যেতে পারে, তা আগে থেকেই বলে দেওয়া যায়। কেননা, গতবারের বহু বিধায়ক তথা মন্ত্রীকে এ বারে টিকিট দেননি মমতা। উত্তরবঙ্গের এমন কিছু হেভিওয়েট শাসকদলের নেতা রয়েছেন যারা ভোটে হেরে গিয়েছেন। ফলে মন্ত্রিসভাতেও যে এ বার বহু নতুন মুখ দেখতে পাওয়া যাবে, এবং তাতে চমকও থাকবে, তা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়।

আরও পড়ুন : আমি চাইনি শূন্য হোক, কিছু বাম-কংগ্রেস থাকলে ভাল হত: মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest