সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানকে প্রাণনাশের হুমকি এবং তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম অবিনাশকুমার ভারতী এবং দীপক অওলাখ। ২৪ বছরের অবিনাশ বিহারের বেগুসরাইয়ের সালাউনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাশিদের গাড়িচালক ছিলেন। বছর কুড়ির দীপক উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা। দীপক রাশিদের অফিসে কিছু দিন কাজ করেছেন। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে শহরে আনা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ৯ অক্টোবর। ‘টাকা না দিলেই খুন করা হবে।’ অজানা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে বারবার এই হুমকি পাচ্ছিলেন ওস্তাদ রসিদ খান। প্রথমে এই কলে বিশেষ আমল দেননি তিনি। তবে পরপর বেশ কয়েকবার ফোন আসতে থাকায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিল্পীর পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখা। তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে আসে এক নাম। অবিনাশ কুমার ভারতী নামে শিল্পীর গাড়িচালককে সন্দেহ করে পুলিশ। তদন্তকারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। পরে তার কাছ থেকেই উঠে আসে মূল অভিযুক্ত দীপক আউলিয়ার নাম।
জানা যাচ্ছে, দীপক শিল্পীর অফিসে কাজ করত। কিছুদিনই কাজ করেছিল সে। নিয়ম না মানায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। এরপরই উত্তরপ্রদেশে চলে যায় দীপক। সেখানে ছোটখাটো কাজ করতে থাকে। শিল্পীকে হুমকি ফোন সেই করেছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও জানা গিয়েছে, পরিচয় লুকোতে দীপক মোবাইল নম্বর মাস্কিং করে ফোন করেছিল। কিন্তু গুন্ডা দমন শাখার তদন্তকারীরা শিল্পীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নম্বরটি ট্র্যাক করা শুরু করেন। তারপরই দীপকের সন্ধান পায় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছিল বলেই বদলা নিতে সে এ কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দীপককে কলকাতায় আনা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দীপক ও অবিনাশ ছাড়া আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।