দিল্লিতে আজ তৃণমূলের সব সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বৈঠকের পর কংগ্রসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। ওই বৈঠকে দলের সব সাংসদকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু আজকের ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন না বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। এমনটাই সূত্রের খবর।
দিল্লিতে আজ তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির ওই বৈঠকে ছিলেন না চৌধুরি মোহন জাটুয়া, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া লুইজিনহো ফেলেইরো, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানের নেতা সাংসদ। তৃণমূল সূত্রে খবর, নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীকে শোকজ নোটিস পাঠাচ্ছে দল। অন্যদিকে, অসুস্থ থাকায় বৈঠকে যেতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন জাটুয়া এবং ফেলেইরো দলের কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। দলীয় সূত্রে খবর, অভিষেক ক্ষুব্ধ হয়েছেন দুই অভিনেত্রীর ওপর। তাঁদের অনুপস্থিতির কারণও জানতেও চেয়েছেন তিনি। দলের তরফে শো-কজ করা হয়েছে দু’জনকেই।
জানা গিয়েছে, মিমি শ্যুটিংয়ের জন্য বর্তমানে রয়েছেন রাজস্থানে। তাই তাঁর পক্ষে দলের মিটিংয়ে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর নুসরতের বৈঠকে না আসার কারণ স্পষ্ট নয় কারও কাছেই।
দলের এই রকম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ সংসদীয় দলের সদস্যরাও। এক তৃণমূল সাংসদের কথায়, এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ না করা হলেও দল তাঁদের অনুপস্থিতির প্রকৃত কারণ জানতে চাইছে। কারণ, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধী দল তৃণমূলের ভূমিকা এখনও জাতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাই, সাংসদদের অনুপস্থিতিতে দল যে ক্ষুদ্ধ, সেই বার্তা ওই দুই অভিনেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।