নাইট কার্ফুর ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হয়েছিল গতকালই। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারির মাধ্যমে নতুন করে রাজ্য সরকার বিধিনিষেধে আরও কিছু ছাড়পত্র দিল। নতুন নির্দেশিকায় আরও শিথিল করে জানানো হল, এখন থেকে রাজ্যে দোকানপাট, বার-রেস্তোরাঁ রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে। আগে এই ছাড় ছিল রাত ৮টা পর্যন্ত। ১৫ অগস্ট থেকে এই শিথিলতা বলবৎ হবে। যদিও রাত সাড়ে ১০ টার পর কোনও ভাবেই বার-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না বলে জানিয়েছে নবান্ন। কারণ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত এখনও কার্যকর থাকছে নাইট কার্ফু।
এ ছাড়া সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি অনুষ্ঠান করতে হবে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এ ছাড়াও ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমা হলের পাশাপাশি খোলা থাকবে অন্য প্রেক্ষাগৃহগুলিও। ফলে ফের নাটক বা অন্য কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে। তবে সে ক্ষেত্রেও দর্শক সংখ্যা থাকবে মোট আসনের ৫০ শতাংশ। তা ছাড়া স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল খোলা যাবে ১৬ তারিখের পর থেকে। সেখানেও ৫০ শতাংশ দর্শকাসন পূর্ণ করা যাবে।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনও লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়নি রাজ্য সরকার। শুক্রবারের নির্দেশিকায়ও লোকাল ট্রেন নিয়ে আলাদা করে কোনও নির্দেশিকা ছিল না। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ৩১ অগস্টের পর লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে, তার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।
আরও পড়ুন: এখনও ৫৭০ কোটির সম্পত্তি সিপিএমের! রাজ্যে ধারেকাছে নেই তৃণমূল- বিজেপি
কিন্তু লোকাল ট্রেন এখনও কেন চালু করছে না রাজ্য সরকার? এই নিয়ে গতকাল সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনেকে আমায় প্রশ্ন করছেন, লোকাল ট্রেনটা কেন চলছে না? এর কারণ হচ্ছে, ভ্যাকসিনটা আমি যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে পুরো না দিতে পারব, তাহলে এর (করোনার) প্রকোপ তো বাড়বে। এখন থেকেই তো (তৃতীয় ঢেউ) কন্ট্রোল করতে হবে। আমি জানি সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে যারা কলকাতায় আসতে চায়। সেই জন্য বাস-অটো সব চালু করে দেওয়া হয়েছে”।
পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “সমস্যা একটাই। সেপ্টেম্বরে যেহেতু থার্ড ওয়েভ আসার কথা রয়েছে, তাই আমাদের এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হচ্ছে। যারা লোকাল ট্রেনে আসতে পারছেন না জানি তাঁদের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু আপনার জীবনের থেকে তো বেশি দামি কিছু নয়। তাই আরও কয়েকটা দিন আমাদের কষ্ট করতে হবে বন্ধু। আমরা চেষ্টা করছি টিকাকরণ যাতে বাড়ানো যায়। কলকাতার কাছাকাছি জেলাগুলোতে যদি ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিনও দিয়ে দিতে পারি, তাহলে লোকাল ট্রেন চালু করে দেব আমার কোনও সমস্যা নেই।”
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সিআইডির জালে মূল অভিযুক্ত, গ্রেফতার দিল্লি থেকে