Site icon The News Nest

অবশেষে বিজেপির সঙ্গে ছিন্ন সব সম্পর্ক, সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিলেন Babul Supriyo

babul

অবশেষে মঙ্গলবার স্পিকারের দেখা পেলেন বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সময় দেওয়া হলেও পরে সেই সময় বদলে হয় দুপুর ১২টা। বাবুল ১০.৩০ নাগাদ পৌঁছে যান এবং ১২টায় দেখা করেন স্পিকারের সঙ্গে। কিছুক্ষন স্পিকারের সঙ্গে কথা বলে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

গত জুলাই মাসের শেষ দিন ফেসবুক পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। যদিও তখন জানিয়েছিলেন, আসানসোলবাসীর কাজ করতে সাংসদ পদ ছাড়বেন না। কিন্তু প্রত্যক্ষ রাজনীতিতেও আর থাকবেন না তিনি। তবে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাবুল তৃণমূলে যোগ দেন। আর যোগ দিয়েই জানিয়ে দেন, তিনি আসানসোলের সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন।

স্পিকারের বাসভবন থেকে বেরনোর সময় মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাবুল। সাংসদ পদ ছাড়ার পর তাঁর যে মন ভারাক্রান্ত, সে কথা জানান তিনি। এর পরেই ওঠে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার বাবুল জানান, রাজনীতির বাইরে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বন্ধুসম। বাবুলের কথায়, ‘‘কয়েক মাস আগে পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন। রাজনীতির বাইরে তিনি আমার বন্ধু। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তাঁকেও তো আমার সম্পর্কে কঠোর বাক্য প্রয়োগ করতে হয়। তবে, শুভেন্দুর উচিত তাঁর বাবা ও ভাইকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পরামর্শ দেওয়া। কারণ তাঁরা তো আর তৃণমূলে নেই।’’

শুভেন্দুর ‘বাবা ও ভাই’ অর্থাৎ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কথাই বলতে চেয়েছেন বাবুল। ঘটনাচক্রে দু’জনেই তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু দু’জনের সঙ্গেই দলের ‘সেই অর্থে’ কোনও সম্পর্ক নেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিশির এগরায় অমিত শাহের সভায় হাজির থাকলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি-তে যোগ দেননি। আবার তৃণমূলে আছেন, তেমন দাবিও করতে শোনা যায়নি। একই কথা খাটে দিব্যেন্দুর ক্ষেত্রেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইস্তফা দিয়ে বেরিয়েই বাবুলের মুখে শুভেন্দুকে ‘পরামর্শ’ দেওয়ার মধ্যে অন্য ব্যঞ্জনা রয়েছে।

বিজেপি-র টিকিটে জিতে পর পর দু’বার আসানসোল থেকে সাংসদ হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন বাবুল। পেয়েছেন মন্ত্রিত্বও। সেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দিনে তাঁর মন ভারাক্রান্ত বলেও জানিয়েছেন বাবুল। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডার কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে যোগ্য মনে করার জন্য এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বিজেপি থেকে। তাই আজ শেষ দিন মন ভারাক্রান্ত।’’

গতকাল ট্যুইটে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছিলেন, ‘আমার মধ্যে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে আমি আবার জয়লাভ করব।’‌ গুঞ্জন ওঠে, তাহলে কি বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) আসানসোলে উপনির্বাচনে লড়বেন নাকি তাঁকে এই রাজ্যে কোনও মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হবে?‌ এই দুই প্রশ্নই এখন বাবুলকে ঘিরে মূল আলোচ্য বিষয়। কিছুদিন আগে জাগো বাংলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। শেষ পর্যন্ত তাকে নতুন কোন ভূমিকায় দেখা যায়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

Exit mobile version