Site icon The News Nest

কেন প্রেমে পড়েছিলেন রাজমিস্ত্রিদের? পুলিশকে জানালেন কর্মকার পরিবারের দুই বধূ, শ্বশুরবাড়িতে হল না ঠাঁই

housewife scaled

রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া বালির নিশ্চিন্দার দুই বধূকে বুধবারই ফিরিয়ে এনেছে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় ওই দুই গৃহবধূ জানিয়েছেন, কেন তাঁরা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়িয়েছিলেন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে।

দুই রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাসের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিলেন বালির নিশ্চিন্দার কর্মকার পরিবারের দুই বধূ অনন্যা এবং রিয়া। বুধবার তাঁদের চার জনকেই আসানসোল স্টেশনে মুম্বই মেল থেকে গ্রেফতার করে জিআরপি এবং নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। ঘর ছেড়ে পালানোর সময় রিয়ার সঙ্গে ছিল তার সন্তান আয়ুষ। তাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে শেখর এবং শুভজিতের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ওই দু’জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন ওই দুই বধূ। এর পর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁদের নিয়ে আসা হয় নিশ্চিন্দা থানায়। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ বসে থাকেন তাঁরা। এর পর বাপেরবাড়িতে ফিরে যান ওই দুই তরুণী। জানা গিয়েছে, অনন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজমিস্ত্রি শেখর রায়ের। তাঁর জা রিয়া বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাসের সঙ্গে। কিন্তু কেন? সে কথা পুলিশকে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া।

অনন্যা পুলিশকে জানিয়েছেন, আট বছর বিয়ে হলেও সন্তান হয়নি তাঁর। কাজে ব্যস্ত স্বামী বেশি সময়ও দিতে পারতেন না তাঁকে। সব মিলিয়ে সংসার জীবনে একঘেয়েমি গ্রাস করেছিল। একই সমস্যা তাঁর জা রিয়ার। ১০ আগে বিয়ে হওয়া রিয়ার ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু স্বামী সময় দিতে না পারাতেই বিরক্তি তৈরি হয়েছিল তাঁর মনেও।

এ রকম অবস্থায় রাজমিস্ত্রি শেখর এবং শুভজিতের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। শেখর এবং শুভজিৎ দু’জনেই মিষ্টভাষী ছিলেন। দুই রাজমিস্ত্রি সহজে সকলের সঙ্গে মিশতে পারতেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া। এই গুণের জন্য দুই রাজমিস্ত্রি অল্প সময়ে মন জয় করে নেন কর্মকার পরিবারের বধূদের। ক্রমে তাঁদের আলাপ গাঢ় হয়। এর পরই তাঁরা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

 

Exit mobile version