দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর রবিবার এই তিন কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে দিল তৃণমূল। শনিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষিত হতেই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার জানিয়ে দেওয়া হল, জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন জাকির হোসেন। সামসেরগঞ্জে লড়বেন আমিরুল ইসলাম।
শনিবার নির্বাচন কমিশন ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর মমতার ওই আসনে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে তৃণমূলনেত্রীর নাম ঘোষণার আগেই ভবানীপুরে অতি উৎসাহী তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে হোর্ডিং, ব্যানার লাগানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ২০১১ সালের এই সেপ্টেম্বর মাসেই উপনির্বাচনে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন মমতা। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার শর্তও পালন করেছিলেন তিনি। এবছর ২১ মে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর বিধানসভা থেকে পদত্যাগের পরেই স্পষ্ট হয়েছিল যে এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন মমতাই।
আরও পড়ুন: কেউ যেন খুবলে নিয়েছে বাঁ হাতের মাংস, মালদায় তৃণমূল নেতার সেতাবুর রহমানের রহস্যমৃত্যু!
ভবানীপুর ছাড়াও রবিবার তৃণমূল জঙ্গিপুর আসনে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন ও সামসের়গঞ্জে আমিরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত, এই দুই আসনেই প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি। ওই আসনে জাকির ও আমিরুলকেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু প্রথমে প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে নির্দিষ্ট সময় ভোট হয়নি। পরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ায় বিকল্প ভোটের দিন ঘোষণা করেও তা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। ২০১৬ সালে জাকির ও আমিরুলই তৃণমূলের প্রতীকে ওই আসনে জয় পেয়েছিলেন।
এদিকে, করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী রেজাউল হক। এরপরই প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুনকে। কিন্তু তিনিও শেষপর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে রাজি না হওয়ায় ফের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। জঙ্গিপুর লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই জইদুর রহমানকে সামশেরগঞ্জে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু সেই কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান এবার জানালেন ব্যক্তিগত কারণে নাম প্রত্যাহার করলেন। তিনি আরও স্পষ্ট করে দেন, নাম তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূলের তরফে কোনওপ্রকার চাপ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘দলে সম্মান নেই’, এবার BJP ছাড়ার ইঙ্গিত রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী