Site icon The News Nest

রাজ্যে অক্সিজেন পেতে মরিয়া বিজেপি, সিঙ্গুর-তাস খেলে মনজয়ের চেষ্টা শুভেন্দুর

bjp flag

Indian activists of the Bharatiya Janata Party (BJP) shout slogans in support of Prime Minister Narendra Modi during a gathering in Kolkata on March 29, 2019. - Prime Minister Narendra Modi is expected to address seven public rallies in West Bengal ahead of the 2019 Lok Sabha polls, including a rally at Kolkata's Brigade Parade Ground on April 3, local reports said. (Photo by Dibyangshu SARKAR / AFP)

দিল্লি সীমানায় এক বছর ধরে কৃষক আন্দোলনের জেরে তিন কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু এ রাজ্যে ভোলবদলে ‘কৃষক-স্বার্থে’ পথে নামছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিন সিঙ্গুরের গোপালনগরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অবস্থান কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির সামনে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে সেই ধরনা হবে। প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। মঞ্চ বাঁধার কাজ করতে গেলে বাধা দেওয়া হয় পুলিস-প্রশাসনের পক্ষ থেকে, এমনই অভিযোগ ছিল বিজেপি নেতৃত্বের (Singur farmers protest) । ওই জায়গায় ধরনা করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল।

বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়ে দিয়েছিলেন, কর্মসূচি করতে না দিলে কুরুক্ষেত্র হবে। গতকাল তারকেশ্বরে এসে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দেন ধরনায় বাধা দিলে অনশন হবে। যে কোনওভাবে এই কর্মসূচি করতে মরিয়া বিজেপি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। অবশেষে গতকাল রাতে বিজেপির কর্মসূচির আবেদন গ্রহণ করেছে পুলিস।

সিঙ্গুর পুলিস সূত্রে খবর, পুলিসের কাছে বিজেপি কী কর্মসূচি করবে, তা জানিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কোভিড বিধি মেনে ধরনা করার অনুমতি দিয়েছে পুলিস। অবশেষে জট কাটায় মঙ্গলবার সকালে ধরনা মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয় সিঙ্গুরে। সকাল দশটা থেকে কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও তা কিছুটা দেরিতে হবে বলে জানা গেছে। ধরনায় শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারসহ বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের উপস্থিত থাকার কথা।

নন্দীগ্রামের পাশাপাশি ১৪ বছর আগে সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি প্রকল্প স্থাপনের বিরুদ্ধে জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার জমি শক্ত করেছিল বাংলারা রাজনীতিতে। সিঙ্গুরের এই জমি আন্দোলন এবং রাসায়নিক হাবের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পরবর্তী ভোটে মমতার সমর্থনের ভিত্তি তৈরি করেছিল। মমতার সেই ভিত্তিতে ভাগ বসাতে চাইছে এবার বিজেপি। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বেহাল দশা রাজ্য বিজেপির। দলবদলের জেরে কমে গিয়েছে বিধায়ক সংখ্যা। উপনির্বাচনে কমেছে ভোটের হার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে যে কোনো ভাবে রাজ্যটিকে মাইলেজ পেতে মরিয়া বিজেপি। আর সেই মাইলেজ দেওয়ার দায় বর্তেছে শুভেন্দু অধিকারীর উপর।

Exit mobile version