পুজো মিটলেই ফের রাজ্যে উপনির্বাচন (West Bengal By-Elections)। ইতিমধ্যেই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এবার তারকা প্রচারকদের তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। ভবানীপুর উপনির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অনুপস্থিত ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। নানা জল্পনা হয়েছিল সেই বিষয়টি নিয়ে। এবারও ফের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তারকা-প্রচারকের লকেটকে রাখল গেরুয়া শিবির। তালিকায় রাখা হয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নামও।
বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় যেমন স্বাভাবিকভাবেই নাম রয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম, তেমনি নাম রয়েছে সাত জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিং, সুভাষ সরকার, জল বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, প্রতিমা ভৌমিক, শান্তনু ঠাকুরের নাম রয়েছে তারকা প্রচারকদের তালিকায়।
তালিকায় আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অমিতাভ চক্রবর্তী, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালরাও। ভবানীপুরের হাইভোল্টেজ উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রে তারকা প্রচারকের তালিকা নাম ছিল হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি একদিনও প্রচারে যাননি। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদিপ সিং পুরিরা দলীয় প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচার করলেও অনুপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তা নিয়ে বিপুল জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এবারও লকেটকে রাখা হয়েছে তালিকায়।
চলতি মাসের ৩০ তারিখ দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবায় উপনির্বাচন। বিজেপির (BJP) জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় আসন শান্তিপুর। বিজেপির হয়ে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন বিশ্বাস। উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে দিনহাটা আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অশোক মণ্ডলকে (Ashok Mandal)। গোসাবার প্রার্থী পলাশ রানা। আর খড়দহ থেকে লড়াই করছেন অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ঘনিষ্ঠ জয় সাহা। পুজো মিটলেই প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে রণকৌশল।
বস্তুত, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা এবং শান্তিপুর এই দুটি কেন্দ্রেই জিতেছিল বিজেপি। তাই উপনির্বাচনে এই দুটি কেন্দ্রে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। বাকি দু’টি কেন্দ্র খড়দহ এবং গোসাবায় (Gosaba) প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। তবে, সেখানেও লড়াই ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। তাই উপনির্বাচনের প্রচারে বিশেষ জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।