দম্পতির রহস্যমৃত্যু। ফ্ল্যাট থেকে জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার (Howrah) চ্যাটার্জীহাটে। ইতিমধ্যেই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
চ্যাটার্জিহাট ২২ বাই ২ নন্দলাল মুখার্জি লেনে একটি বহুতলের নীচের তলায় ভাড়া থাকতেন গৌতম মাইতি এবং মৌসুমি নামে এক দম্পতি। তাঁদের দুই মেয়ে। তাদের এক জন নবম এবং অপর জন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তারা দু’জনেই একটি অভিজাত স্কুলের ছাত্রী। রবিবার দুই মেয়ে গিয়েছিল আঁকার ক্লাসে। ফিরে এসে তারা দেখতে পায় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কলিং বেল বাজিয়েও ভিতর থেকে সাড়া না মেলায় দুই বোন প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায়। এর পর তাঁরা খবর দেন পুলিশে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের বাধায় পৌষমেলা করা যায়নি! উপাচার্যের মন্তব্যে ফের রাজ্য-বিশ্বভারতী সংঘাত
শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভাঙে পুলিশ। দেখা যায়, ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন গৌতম। মেঝেয় পড়ে রয়েছে স্ত্রী চৈতালীর দেহ। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে দম্পতির দুই সন্তান। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
গৌতম এবং মৌসুমির বড় মেয়ে জানিয়েছে, তার বাবা হাওড়ার একটি পানশালায় কাজ করতেন। সেখান থেকে রাত ১০টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরতেন। মা দিনভর ফেসবুকে ব্যস্ত থাকতেন বলেও জানিয়েছে সে। এ নিয়ে বাবা এবং মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত বলেও সে জানিয়েছে। সেই অশান্তির কারণেই স্ত্রীকে খুন করে গৌতম গলায় দড়ি দিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্য কমিটির পর এবার জেলাস্তরে আমূল রদবদল, অপসারিত ৩০ বিজেপির জেলা সভাপতি