Site icon The News Nest

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত তিন ‘গরুপাচারকারী’, কোচবিহারে তুমুল উত্তেজনা

setai scaled

বিএসএফের খবরদারির এলাকা বাড়িয়েছে মোদী সরকার। আর আজ রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। তিনি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের এবং বিএসএফ শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার সাতসকালে কোচবিহারের সাতভাণ্ডারী সীমান্তে চলল বিএসএফের গুলি। গরু পাচারকারী সন্দেহে এই গুলি চালানো হয়েছে বলে খবর। এই গুলি চালানোতেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। যার মধ্যে রয়েছে দু’‌জন বাংলাদেশী ও একজন ভারতীয় নাগরিক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিতাই থানার পুলিশ।

এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ সিতাইয়ের চামটা এলাকায় বিএসএফের সঙ্গে সন্দেহভাজন গরুপাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাতে ওই এলাকা দিয়ে তিন জন গরুপাচার করছিলেন বলে অভিযোগ। সে সময় পাচারে বাধা দেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা। তাঁদেরকে পাল্টা আক্রমণ করেন অভিযুক্তরা। বিএসএফের জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইঠপাটকেল ছুড়তে থাকেন ওই ব্যক্তিরা। অভিযোগ, সে সময় পাচারকারীদের দিকে গুলি ছোড়েন বিএসএফ জওয়ানেরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন তিন জন। নিহতদের মধ্যে প্রকাশ বর্মণ নামে এক জন ভারতীয় এবং বাকিরা বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  ভারতীয় নাগরিকের দেহটি পড়ে রয়েছে সিতাইয়ে। আর বাংলাদেশ ভূখণ্ডে রয়েছে নিহত দুই বাংলাদেশীর দেহ।

শুক্রবার সকালে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর আছে যে বিএসএফের গুলিতে তিন জন মারা গিয়েছেন। ঘটনাস্থলে সিতাই থানার পুলিশ পৌঁছেছে। তবে এ নিয়ে বিএসএফের তরফে জানানো হলে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারব।’’

বিএসএফের দাবি অনুযায়ী, এই তিনজন গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তবে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ আছে বলে প্রমাণ মেলেনি। এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কোচবিহারের সীমান্তে এই ঘটনা এখন চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। কী এমন ঘটল যে গুলি চালাতে হয়েছিল?‌ কোন প্রমাণের ভিত্তিতে এই গুলি চলল?‌ এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিএসএফ জওয়ানরা মিথ্যে কথা বলছেন। এই নাগরিক গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে সিতাই এলাকায়। বাধ্য হয়ে সেখানে আসে সিতাই থানার পুলিশ। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। পুলিশ এখন এই ঘটনা কিভাবে ঘটল?‌ তা জানার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে মৃতদের নাম–পরিচয় জানারও চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

Exit mobile version