Calcutta High Court gives relief to Suvendu Adhikari

আদালত-অনুমতি ছাড়া গ্রেফতারি নয়, হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু অধিকারী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু মামলায় হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় তদন্ত চলবে। শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। শুভেন্দুর সুবিধামত জায়গায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দুকে কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তাঁর মর্যাদার কথা বিবেচনা করেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত করতে হবে। সিআইডি বা পুলিশ হঠাৎ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেই তাঁর পক্ষ হাজির হওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে।

ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হলেও তাঁকে আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ছ’সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। কাঁথি, নন্দীগ্রাম এবং পাঁশকুড়া থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলির শুনানির উপর স্থগিতাদেশও জারি করেছে হাই কোর্ট। কাঁথি থানায় দায়ের হওয়া দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যুর মামলা এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: কম খরচে যাঁরা মদ পান করেন, তাঁদের জন্য খারাপ খবর!

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী৷ সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু৷ মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা জানান, ১৪ অক্টোবর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর৷ শুভব্রতর শরীরে গুলি লেগেছিল৷ কিন্তু কী করে তিনি গুলিবিদ্ধ হন সেটা সুপর্ণা বা পরিবারের কারও কাছে আজও স্পষ্ট নয়৷ সেই ঘটনার আড়াই বছর পর ৭ জুলাই কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণা৷

নিহতের স্ত্রীর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তখন রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন৷ তাই তখন ভয়ে মুখ খোলেননি৷ এখন পরিস্থিতি আলাদা৷ শুভেন্দু অধিকারীর দাপট অনেকটাই কমেছে৷ তাই এখন তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বিচার চান৷ অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স আসতে অনেক দেরি করে৷ কলকাতায় নিয়ে আসার পরেও হাসপাতালে কোনও চিকিৎসায় হয়নি শুভব্রতর৷ সুপর্ণার প্রশ্ন, রাজ্যের মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও কেন অ্যাম্বুল্যান্স দেরিতে এল? কেন হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল শুভব্রতকে? সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ভবানীভবনে শুভেন্দুকে তলব করেছিল সিআইডি। কিন্তু তিনি হাজির হননি।

আরও পড়ুন: জঙ্গিপুরে প্রচার শুরু করে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest