সময়ে অসময়ে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সমালোচনায় সরব হয়েছেন প্রাক্তন BJP নেতা তথাগত রায়। একুশের নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা নিয়েও বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুর কেন্দ্রে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন তথাগত। আর তাঁর পছন্দে ফের অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি।
মঙ্গলবার সকালে একটি টুইটে তথাগত রায় লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ BJP-র উচিত ভবানীপুরে উপনির্বাচনে সুবোধকে প্রার্থী করা। কিন্তু, কে এই সুবোধ ? ওই যে BJP কার্যালয়ে ফুটফরমাশ খাটে, চপ-সিঙাড়া এনে দেন। চপই তো পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ!’ ব্যঙ্গের সুরে এই বক্তব্য রাখেন তথাগত। তবে এই প্রথম নয়। আগেও বিভিন্ন মন্তব্য করে রাজ্য বিজেপি নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে প্রাক্তন রাজ্যপাল।
তথাগত রায়ের এই টুইটে অধিকাংশই লিখেছেন, ভবানীপুরে কোনওভাবেই জিততে পারবে না বিজেপি। কেউ কেউ আবার তথাগত রায়কেই প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছন। কেউ তথাগত রায়কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আপনি প্রার্থী হলেও বিজেপির জামানত জব্দ হবে!”
আরও পড়ুন: ‘দলে সম্মান নেই’, এবার BJP ছাড়ার ইঙ্গিত রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির উচিত ভবানীপুরে উপনির্বাচনে সুবোধকে প্রার্থী করা।
কিন্তু কে এই সুবোধ ?
ঐ যে, বিজেপি কার্যালয়ে ফুটফরমাশ খাটে, চপ-সিঙাড়া এনে দেয় !
চপই তো পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ !— Tathagata Roy (@tathagata2) September 7, 2021
বিজেপি সূত্রের খবর, ভবানীপুরে প্রার্থী নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা (West Bengal BJP)। ওই আলোচনায় ৪ জনের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন- দীনেশ ত্রিবেদী, তথাগত রায় (Tathagata Roy), রুদ্রনীল ঘোষ এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। পরাজিত হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বোলপুরে বিজেপি প্রার্থী। নির্বাচনে হেরেছেন। ভোটের আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে ঢুকেছেন দীনেশ ত্রিবেদী। প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে তাঁকেই বিজেপি ময়দানে নামাতে পারে বলে জোর খবর। বিজেপি সূত্রের খবর, একুশের বিধানসভা ভোটেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তথাগত রায়। তবে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। মমতার বিরুদ্ধে তথাগতর (Tathagata Roy) মতো পুরনো বিজেপি নেতাকে প্রার্থী করার ভাবনাচিন্তাও করছে নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে শুরু ট্যাবের অর্থ বিলি, ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে পড়ছে ১০ হাজার টাকা