চণ্ডীতলায় একই পরিবারের তিন জনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আত্মঘাতী। অন্তত তেমনটাই প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে গোবরা স্টেশনের রেল লাইন থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্রীকান্ত ঘোষ। তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন দাদা তপন ঘোষ। রেল পুলিশ দেহ উদ্ধার করে কামারকুন্ডুতে নিয়ে গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সকালে হুগলির চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতা এবং তাঁদের মেয়ে শিল্পাকে কুপিয়ে খুন করেন খুড়তুতো ভাই শ্রীকান্ত। প্রথমে শাবল, পরে চপার দিয়ে আঘাত করে খুন করেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শ্রীকান্ত। পুলিশ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। এই ঘটনায় শ্রীকান্তর দাদা তপন ঘোষকে আটক করেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘ ঘটনার পর বাড়ি থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ সকালে অন্য এক অভিযুক্তের দেহ রেললাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলবে।’’
প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, সম্পত্তির জন্য তুতো দাদার পরিবারকে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি শ্রীকান্ত। তাই ক্ষোভে-অপমানে আত্মহত্যা করেছেন। আবার কারও মতে, তিনজনকে খুনের পর শ্রীকান্তকেও হত্যা করেছে অন্য কেউ। সবমিলিয়ে, তিন খুনের কিনারা করতে গিয়ে পুলিশ আপাতত চারটি হত্যা মামলায় রহস্যের জাল কেটে বেরতে মরিয়া।