রবিবার শিলিগুড়িতে পুলিশের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত খোদ রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি জানালেন ঠান্ডা লেগেছে তাঁর। এর সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন ২০ বছর তাঁর জ্বর হয়নি।
মমতার কথায়, “আমার একটু ঠান্ডা লেগেছে। প্রচন্ড বর্ষার সময় পুজোর উদ্বোধন করেছি আমি। প্রায় ৪৬০টি ক্লাবে। উদ্বোধনের দু তিন দিন আগে থেকে প্রচন্ড বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে তো ছিলই। উত্তরবঙ্গে এখন হচ্ছে। আমাকে জলে ভিজে ভিজে প্রায় ১৫০-২০০টি পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগে। এবং পুজোর সময়টা একেবারে গলা দিয়ে কথা বলতে পারছিলাম না। এখনও কথা বলতে গেলে কাশি লাগছে। ঠান্ডাটা প্রচন্ড লেগেছে। প্রোগ্রাম তো থামিয়ে রাখা যায় না।”
সত্তোরর্ধ্ব বয়সী মুখ্য়মন্ত্রী এখনও ট্রেড মিলে হাঁটেন। আর কোনও মিছিলে তাঁর সঙ্গে হেঁটে যেতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় কমবয়সী রাজনৈতিক সর্তীর্থদেরও। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলাটাও ধরা লাগল। নিজেই জানালেন তাঁর অসুস্থতার কথা। তবে তার পরেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজয়ায় সবাইকে শুভেচ্ছা জানালেন বাঘাযতীন পার্কের সভা থেকে। একই ভাবে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে গেলেন বিজেপি-কে। আবার ভ্যাকসিন থেকে ত্রিপুরা প্রসঙ্গেও বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর মন্তব্য, “এটা শ্মশানের শান্তি নয়, বাংলা ত্রিপুরা নয়, গেলেই মাথায় মারো? সন্তোষ মোহন দেবের মেয়েকেও মারছে। ট্রিটমেন্ট হচ্ছে না ভাবতে পারেন?” উল্লেখ্য, সুস্মিতা দেবের ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি নিজে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিশানা করেন। এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে যখন বিজেপি তৃণমূলকে আক্রমণ শানাচ্ছে, মমতার মন্তব্য, ‘নির্বাচনের পর এখানে কটা হিংসা দেখেছেন? বিজেপি হুক্কাহুয়া করে ঘুরছে আর হিংসা বলছে। ত্রিপুরায় তাকান, একটা মিছিল করতে দেয় না! চ্যারিটি বিগিন অ্যাট হোম।”