করোনা রুখতে রাজ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরও কড়া করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার থেকেই লাগু হচ্ছে নতুন বিধি। আর এই খবর শুনেই দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে দলে দলে মদের দোকানে ছুটল মানুষ। যাতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
পুরনো বিধি অনুসারে শনিবার বিকেল ৫টায় রাজ্যজুড়ে খোলে মদের দোকানগুলি। যদিও তার আগে থেকেই তার সামনে ভিড় করে ছিলেন মদ্যপায়ীরা। দোকান খুলতেই ভিড় আছড়ে পড়ে সেখানে। দূরত্ববিধি শিকেয় ওঠে। বাবুঘাট থেকে বাগুইআটি, মানিকতলা থেকে মন্দিরবাজার-রাজ্যের সর্বত্রই ছবিটা প্রায় এক।
আরও পড়ুন: ‘যৌন সম্পর্কের জন্য’ বাড়ি থেকে বেরতে চাই! ই-পাসের আবেদন লকডাউনের কেরলে
খাস কলকাতায় চাঁদনি চকের সামনের দোকানে ভিড় সামাল দিতে তো রীতিমতো পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। যাতে লাইনে শারীরিক দূরত্ববিধি মানা হয়। কিন্তু কোথায় কী? পুলিশের চোখ এড়িয়ে লাইনের সাইড থেকে দোকানে ঢোকার চেষ্টা চালান কেউ কেউ। উদ্দেশ্য একটাই, দুটো অতিরিক্ত বোতল যদি পাওয়া যায়। নেশার রসদ না জুটলেও দোকানের নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশের লাঠির ঘা জুটেছে অবশ্যই।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণবঙ্গের হুগলি, মদের দোকানে দীর্ঘ লাইনের ছবি সর্বত্রই এক। সেই সুরাপ্রেমীদের উত্তরও তেমনি সপাট। কেউ বলছেন ১৫ দিন ঘরবন্দি হয়ে কাটাব কীভাবে? কেউ আবার বলছেন, রাতে ঘুম আসেনা তো না খেলে! কারও কাছে আবার অতিমারিতে এই মদই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করছে! এঁদের দেখে কে বলবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মারা গিয়েছেন ১৩৬ জন! যার কারণেই এই আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত সরকারের।
আরও পড়ুন: লকডাউনের শহরে বাইরে বের হতে লাগবে E-Pass, কীভাবে আবেদন করবেন, দেখে নিন…