Dead bodies of three members of a family recovered from a closed door room at Howrah

পাইপ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে রক্ত, লিলুয়ার বাড়িতে মিলল একই পরিবারের তিন সদস্যের ঝুলন্ত দেহ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ঘরের দরজা ভেঙে একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধার হল হাওড়ায়। সম্পর্কে তাঁরা বাবা, মা ও মেয়ে। এই রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিজিৎ দাস (৪৭) নামের এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় গ্যাসের ব্যবসায়ী ছিলেন। অভিজিতের স্ত্রী দেবযানী (৪২) এবং তাঁদের মেয়ে সম্রাজ্ঞী (১৩)-র রক্তাক্ত দেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পাড়ায় মিশুকে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অভিজিৎবাবু। এলাকা ওয়েল্ডারিং এবং রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করতেন তিনি। ক্লাবেও যাতায়াত ছিল তাঁর। পরিবারে স্ত্রী, মেয়ে ছাড়াও ছিলেন তাঁর মা ও কাকা। একই বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। মা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ির একতলায় থাকতেন। দেখভাল করতেন এক মহিলা। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে অভিজিৎবাবু এবং তাঁর পরিবারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। রেইন পাইপ দিয়ে রক্তর স্রোত বেরতে দেখা যায়। তার পরই পুলিশকে ফোন করেন তাঁরা।

লিলুয়া থানার পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে। ওই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই খুন এবং আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিজিৎই যদি স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করে থাকেন তা হলে তিনি কী ভাবে ওই কাণ্ড ঘটালেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে এই তদন্তে গতি আসবে।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, স্ত্রী এবং মেয়েকে হাতুড়ি মেরে খুন করেছেন অভিজিৎ। তার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁকে শেষ বার প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ব্যবসায়ী অভিজিতের কর্মীরা গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ অভিজিতের ফোন বন্ধ ছিল।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest