আশঙ্কাই সত্যি হল! ঘোলার (Ghola) গেঞ্জি কারখানা থেকে উদ্ধার হল চার যুবকের দেহ। প্রায় তিন দিনের মাথায় তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এলাকা ঘিরে রেখেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। রয়েছেন দমকল আধিকারিকরাও। মৃতের পরিজনদের খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহগুলি শনাক্ত করে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে নিউ ব্যারাকপুরের এই গেঞ্জি কারখানায় আগুন লাগে। এলাকায় একটি তিনতলা বাড়ির ভিতরে গেঞ্জি কারখানাটি চলে। বাড়ির নিচে রয়েছে ওষুধের গুদাম ও রঙের কারখানা। এদিন প্রথমে গেঞ্জি কারখানায় আগুন লাগলেও মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে নিচের তলাতেও। পরিস্থিতি এমন হয়, শুধুমাত্র দমকলের ইঞ্জিন দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরই রোবট মেশিন এনে আগুন বাগে আনার কাজ শুরু হয়। তবু শনিবার সকাল পর্যন্ত আগুনের ফুলকি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: গঙ্গার জল বাড়বে ১৮ ফুট উচ্চতায়, ভাসবে কলকাতা! বিকাল ৪টে পর্যন্ত তিলোত্তমার জন্য বিপর্যয়ের সতর্কতা
এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূর্ত দফতরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের একটি দল। ড্রোন উড়িয়ে বাড়িটির ভিতরের পরিস্থিতি দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই দেখা যায়, বাড়িটির তিন তলা থেকে ছাদে ওঠার সিঁড়ির মাঝে চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে। অনুমান, আগুন লাগার পর প্রাণে বাঁচতে ছাদের উঠতে চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। মৃতদের নাম স্বরূপ ঘোষ (৪২), সুব্রত ঘোষ(৩৫), অমিত সেন (৩২), তন্ময় ঘোষ (২৩)। এঁরা প্রত্যেকেই নদিয়ার বাসিন্দা। মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দমকলবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কারখানার ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। এ ছাড়া ওষুধের গুদামে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণে স্যানিটাইজার। রঙের কারখানায় ডিজেলও রাখা ছিল। তা থেকেই দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে বলে অনুমান দমকলের।
আরও পড়ুন: Bengal Politics: ‘আমায় চড় মেরেছে’,কালীঘাট থানায় অভিযোগ রুদ্রনীলের, তৃণমূল বলছে মিথ্যা