: প্রবল বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার রাতে ধস নামল দার্জিলিংয়ে। ধস নামল কার্শিয়াংয়ের তিনধরিয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে। এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং-শিলিগুড়ি যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
বঙ্গে পা রাখার পর থেকে ঝোড়ো ইনিংস বর্ষার (Monsoon)। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণেই বৃষ্টি চলছে। গত কয়েকদিন ধরে বাংলার আকাশের মুখভার। উত্তরবঙ্গে চলছে ভারী বৃষ্টি। শুক্রবার উত্তরবঙ্গবাসীকে বৃষ্টি থেকে রেহাই মেলার কোনও খবর শোনাতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবংর আলিপুরদুয়ারে। এদিকে, একটানা বৃষ্টির জেরে এদিন সকালে কার্শিয়াংয়ের তিনধরিয়ায় জাতীয় সড়কে ধস। তার ফলে বন্ধ যানচলাচল। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে গাড়িগুলিকে ঘুরপথে রোহিনী হয়ে কার্শিয়াং এবং দার্জিলিংয়ে পৌঁছতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টয়ট্রেনের লাইনও।
আরও পড়ুন: সাংগঠনিক দুর্বলতাতেই ভরাডুবি, জোট ধরে রাখার পক্ষে জোর সওয়াল CPM শীর্ষ নেতৃত্বের
কার্শিয়াংয়ের তিনধারিয়া এলাকা এমনকিতেই ধসপ্রবণ স্থান। বৃষ্টির কারণেই এই ধসের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ১২-১৩ বছর পর ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক সাড়ানো হয়েছিল। ফলে সুবিধা হয়েছিল স্থানীয়দের। তবে আজকের এই ধসে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং-শিলিগুড়ি যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ টয়ট্রেন পরিষেবাও। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রুটিরুজির টানে যাঁদের ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁদের পক্ষে অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পূর্ত দফতরের পদস্থ কর্তারা। পৌঁছেছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মীরাও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মেরামতির কাজ। ধস সংস্কারের কাজ করতে সময় লাগবে। কেননা বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা উড়ে গিয়েছে। টয়ট্রেন লাইনও বড় বড় পাথর আর মাটির তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে। ৫৫ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে রংটং, তিনধরিয়ার সঙ্গ ওপারের কার্শিয়ংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো। এখন অনেকটাই ঘুরপথে রোহিণী হয়ে যেতে হবে। সংক্রমিত রোগীদের কার্শিয়ং হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যেতেও সমস্যা বাড়বে।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনের দাবিতে বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার সোনারপুর, মল্লিকপুর, ঘুটিয়ারি শরিফে