Durga Puja 2023: The word Shubhanandan, invented by Mamata Banerjee, is used in government advertisement

Durga Puja 2023: ‘শারদীয়ার আন্তরিক শুভনন্দন’, মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি শব্দ এখন সরকারি হোর্ডিংয়ে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাংলাজুড়ে উমা আবাহনের তোড়জোড়। প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। পথেঘাটে সর্বত্রই সেই ছোঁয়া। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা সামান্য বদলে নিয়ে বলাই যায়, ‘মুখ ঢেকে যায় (শারদ) বিজ্ঞাপনে’। আর সেই বিজ্ঞাপনে (Advertisement) এবার জায়গা করে নিল নতুন শব্দ। শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে হোর্ডিংয়ে লেখা – শুভনন্দন! যে শব্দ প্রথম শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।

মুখ্যমন্ত্রী আগেও নানা নামকরণ করেছেন। যেমন— নবান্নের সঙ্গে মিল রেখে ‘উপান্ন’, আবার ধনধান্য অডিটোরিয়াম–সহ নানা কিছু। সেখানে নতুন সংযোজন ‘শুভনন্দন’। বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে দিঘা থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আপনাদের সকলকে শুভ নববৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। আমরা বলি অভিনন্দন। আমি আজ থেকে শুরু করলাম শুভনন্দন। শুভকামনা, অভিনন্দন যদি হতে পারে, তা হলে শুভনন্দন কেন নয়?’ এবার সেই শুভনন্দন দেখা যাচ্ছে সরকারি হোর্ডিংয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ সেই হোর্ডিংয়ে লেখা, ‘শারদীয়ার আন্তরিক শুভনন্দন’। সঙ্গে আর একটি লাইন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’।

আরও পড়ুন: Duare Dalil: জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনে নয়া পদক্ষেপ, রাজ্যে এবার ‘দুয়ারে দলিল’

নতুন শব্দকে স্বাগত জানালেও এর অর্থ, ব্যাকরণসম্মত প্রয়োগ নিয়ে দ্বিধান্বিত বিশেষজ্ঞরা। বৈয়াকরণ, তথা সংসদ বাংলা অভিধানের অন্যতম সংকলক অধ্যাপক সুভাষ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শব্দটি আগে কখনও শুনিনি। ঠিক বুঝতে পারছি না, কী অর্থে, কেন এই শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এমন শব্দচয়নের কোনও প্রয়োজন ছিল না।’’ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরোজ পানের মতে, ‘‘এই শব্দের কোনও অর্থই হয় না।’’

সাহিত্যিক বাণী বসু ঠিক-ভুলের বিতর্কে ঢুকতে চান না। তিনি বলছেন, ‘‘ধরণী, শুভনন্দন কত শব্দই তো শুনছি। নন্দনের অর্থ আনন্দ দেওয়া। সম্ভবত সেই অর্থেই সত্যজিৎ রায় সিনেমাচর্চার কেন্দ্রের নাম নন্দন রাখেন। তা বলে শুভনন্দন হয় কি না, বলতে পারছি না।’’ বাণী জুড়ছেন, ‘‘কোন শব্দ টিকবে বা টিকবে না, সময়ই বলতে পারে।’’

অন্যদিকে এই শুভনন্দন শব্দ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সহ–সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘ভেবেছিলাম উনি মুখ ফসকে বলেছেন। এখন তো সরকারি হোর্ডিংয়েও ওই শব্দের ব্যবহার হচ্ছে। মনে হচ্ছে, উদ্ভট শব্দটির প্রচারের দায়িত্ব তৃণমূল সরকার কাঁধে তুলে নিয়েছে।’ পাল্টা পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কো–অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘শুভনন্দন আনন্দবোধক শব্দ। এই শব্দটি আরও জনপ্রিয় হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: TMC: শেষ বেলায় দিল্লিযাত্রার বিশেষ ট্রেন দিল না রেল, তৃণমূলের ‘মিশন দিল্লি’তে ধাক্কা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest