গঙ্গাসাগর মেলায় এবার ই-রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, রেজিস্ট্রেশন না থাকলে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রবেশাধিকার হবে না, তেমনটাই পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। তীর্থযাত্রীদের গঙ্গা সাগর মেলায় আসতে রাজ্য সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ওয়েবসাইটের নাম গঙ্গাসাগর মেলা ডট ইন। অনলাইনে না করে থাকলে মেলায় পৌঁছানোর আগেই অফলাইন রেজিস্ট্রেশন করতেই হবে।
রেলস্টেশন, বাসস্টপ, ফেরিঘাট এবং বিমানবন্দরে কিয়স্ক তৈরি করা হবে। এই রেজিস্ট্রেশনের সময় নাম, মোবাইল নাম্বার, ই–মেল, আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ড কিংবা পাসপোর্ট পরিচয় পত্র হিসেবে দিতে হবে। মেলার প্রত্যেক যাত্রী সম্পর্কে সরকারের কাছে যাতে সঠিক তথ্য থাকে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। ই–রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে QR code লাগানো রিস্টব্যান্ড দেওয়া হবে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে। কেউ হারিয়ে গেলে সহজেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়, সেকারণেই এই ব্যবস্থা।
আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ‘গঙ্গাসাগর মেলা ২০২২’ নামক একটি মোবাইল অ্যাপও তৈরি করছে রাজ্য। এই অ্যাপ দর্শনার্থীদের গাইড হিসেবে পথনির্দেশিকা দেবে। কখন কোথা থেকে গাড়ি পাওয়া যাবে, লঞ্চ পাওয়া যাবে, জোয়ার–ভাটার সময় কখন, যাবতীয় তথ্য এই অ্যাপের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন দর্শনার্থীরা। এই অ্যাপের মাধ্যমে গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে ধর্মীয় পর্যটন হিসেবে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। অনলাইনেও পুজো দেখার ব্যবস্থা থাকবে।
পাশাপাশি ‘সাগর ভ্রমণ’ নামক একটি প্যাকেজও তৈরি করা হয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে দূর–দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই–রেজিস্ট্রেশন করে মেলায় আসতে পারবেন। বাবুঘাটের সরকারি অফিসে মেলার সমস্ত তথ্য এবং টিকিট পেয়ে যাবেন তাঁরা। গাড়ি, লঞ্চ সব ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। এমনকি সমুদ্রতটে থাকার ব্যবস্থাও করবে প্রশাসন। প্রয়োজনে গাইড নিয়ে তীর্থভূমি ঘুরে দেখতেও পারবেন পুণ্যার্থীরা। পুজোর পর প্রসাদ, গঙ্গামাটি, পুণ্যস্নানের জল–বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।