ফের খুনের ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur)। এবার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন বিজেপি কর্মীকে (Bjp Worker)। তৃণমূলই এই কাজ করেছে অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের।
মৃতের নাম শম্ভু মাইতি। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। আজ সকালে দেড়িয়া দিঘি এলাকার নান্টু প্রধান কলেজের কাছে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশে। ভগবানপুর থানার পুলিশ পৌঁছে যায় ওই এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।
নিহত চন্দন মাইতি ওরফে শম্ভু ভগবানপুর পূর্ব মণ্ডলের শক্তিকেন্দ্রর প্রমুখ ছিলেন। ভগবানপুরের ১ নম্বর ব্লকের মহম্মদপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বছর আটত্রিশের ওই বিজেপি কর্মী শনিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন। আচমকাই তাঁর ফোন বেজে ওঠে। কথা বলেন। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কেউ তাঁকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। সেকথা শুনেই বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন।
সারারাত আর বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা করতে থাকেন পরিজনেরা। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। রবিবার ভোরে বাড়ির অদূরেই ওই বিজেপি নেতার ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তবে ততক্ষণে ওই বিজেপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলেই জানান চিকিৎসকেরা।
বিজেপি নেতার পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে চন্দনকে। পরিজনদের দাবি, প্রথমে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মারধরও করা হয় তাঁকে। এরপর রাস্তায় ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। বিজেপি নেতার মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই লেগেছে রাজনীতির রং। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে ঘাসফুল শিবিরের যোগসাজশ রয়েছে। যদিও তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের কথায়, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এলাকা দখল ঘিরে বিজেপির অর্ন্তদ্বন্দ্ব চলছে বহুদিন ধরে। এটা তারই ফল।’ ভগবানপুর থানার পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।