Site icon The News Nest

নজরে উপনির্বাচন! বাংলায় আসছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

central force

 আগামী ৩০ অক্টোবর বাংলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটেই এবার এই উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন বাংলায় ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে থাকছে ৯ কোম্পানি বিএসএফ, ৮ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৫ কোম্পানি করে সিআইএস‌এফ ও এস‌এসবি। এদেরকেই আপাতত যে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেই হবে দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ, ও গোসবা কেন্দ্রে নামানো হবে। তবে পরে প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা যে আরও বাড়ানো হতে পারে তার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

কিছুদিন আগেই রাজ্যের ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সেখানে মোট ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল কমিশন। যার মধ্যে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল শুধুমাত্র ভবানীপুরেই। কিন্তু এবারে ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তখন আগেরবারের তুলনায় অনেকটাই কম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

অনেকেই মনে করছেন, গত মাসে হয়ে যাওয়া ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন বেশ নির্বিঘ্নে হয়ে যাওয়ার জেরে এবারে কমিশন কিছুটা আশ্বাস নিয়েই মাঠে নামছে। তাঁদের আশা চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অশান্তির ঘটনা কমই হবে। আর তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও আগেরবারের তুলনায় কমছে। তবে যে ২৭ কোম্পানি কেন্দড়ীয় বাহিনী বাংলায় আসছে তাঁদের কোথায় কীভাবে মোতায়েন করা হবে তা চূড়ান্ত করা হবে স্থানীয় জেলা নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেই। কোন কেন্দ্রের জন্য কত বাহিনী থাকবে সেটা তখনই চূড়ান্ত হবে।

তবে গেরুয়া শিবির থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে চাপ দেওয়া হত সেই চাপ যে এখন পুরোপুরি কাজ করছে না সেটাও কিন্তু কমিশনের এবারের সিদ্ধান্তে বেশ বোঝা যাচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, সিদ্ধান্ত ও তাঁদের ওপর গেরুয়া শিবিরের প্রভাব নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এবারে যত দিন যাচ্ছে ততই সেই প্রভাব কমতে দেখা যাচ্ছে। কমিশন এখন তাঁর নিজের মতো করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

Exit mobile version