ইতিমধ্যেই চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের মেজাজে ফিরেছে বাংলা। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেটা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তটি নিতে দেখা গেল দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থী বিক্ষোভের মুখে পড়ার পরই।
মোতায়েন করা হল আরও ৫৩ কোম্পানি। সবমিলিয়ে দাঁড়াল ৮০ কোম্পানি। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের পর ফিরে যাবে ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ৭ কোম্পানি থাকবে গণনা পর্যন্ত। উপনির্বাচনের এক সপ্তাহে আগেই পৌছে যাবে অতিরিক্ত বাহিনী।
ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। পুজোর পর এবার উপনির্বাচন হবে কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ায় শান্তিপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ও উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। কবে? ৩০ সেপ্টেম্বর। ২ নভেম্বর ভোট গণনা। এই চার কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার শান্তিপুরে ‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় রুটমার্চও করেন জওয়ানরা। গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুন্দরবন কোস্টাল থানা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্বস্ত করা হয় সাধারণ মানুষকে।
এদিকে কোচবিহারের দিনহাটায় আবার প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভে মুখে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। অভিযোগ, এদিন বামনহাট এলাকায় যখন বাড়ি বাড়ি প্রচার সারছিলেন তিনি, তখন তৃণমূল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন। জানতে চাওয়া হয়, ‘নিশীথ প্রামাণিক কোথায়? যাঁকে ভোট দিয়েছিলাম, সেই নিশীথ কোথায়’? ওঠে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে আরও কেন্দ্রীয় মোতায়েন করল কমিশন।