Elephant violence in Lataguri again, Section 144 was issued

ফের লাটাগুড়িতে হাতির তাণ্ডব, জারি হল ১৪৪ ধারা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফের সাতসকালে হাতির হানা লাটাগুড়ির (Jalpaiguri)বাজার সংলগ্ন এলাকায়। শাবক সহ একটি হাতির দল (Elephant Attack) ঢুকে পড়ে বাজারে। তাণ্ডব চলে বেশ কিছুক্ষণ। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশাসনের তরফে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা (Section 144)।

বুধবার ডুয়ার্সের লোকালয়ে হানা দিয়েছিল ভালুক। এক কিশোরের মৃত্য হয় সেই ভালুকের হানায়। তার পর স্থানীয়রা আবার তাকেও পিটিয়ে মেরে ফেলে। বৃহস্পতিবার দুয়ারে হাজির আরেক ত্রাস। এবার একেবারে বুনো হাতির দল! জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সাত সকালে লাটাগুড়ি বাজারে হানা দেয় এই বুনো হাতির দলটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে লাটাগুড়ির জঙ্গল ছেড়ে ছানাপোনা নিয়ে লাটাগুড়ি বাজার এলাকায় চলে আসে ১২ থেকে ১৪টি হাতির একটি দল।

এদিকে লোকালয়ে হাতি ঢুকে পড়ার খবর এদিন সকালে লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে বুনো হাতি দেখবার জন্য এলাকায় ভিড় জমায় প্রচুর মানুষ। এদিকে সেই হাতির দল হানা দেয় তৃণমূল নেতাার বাড়িতেও। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি অকুস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা। এর পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন মাল মহকুমাশাসক।

ঘটনায় তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “আজ সকালে হাতির দল আমাদের জমিতে চলে এসেছে। দলে বাচ্চাও রয়েছে। এটা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা। তাই হাতি আসবার ঘটনা নতুন কিছু নয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা এসেছেন। এলাকা ঘিরে লোকদের সরানোর কাজ চালাচ্ছেন।”

গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের এডিএপও জন্মেজয় পাল বলেন, “সকালে হাতিগুলো ঢুকেছিল। এই মুহূর্তে লাটাগুড়ি গার্লস স্কুল সংলগ্ন মহালক্ষ্মী কলোনিতে রয়েছে এই হাতির পাল। তেজপাতার বাগানে আশ্রয় নিয়েছে তারা। বিশাল এই হাতির দলে বাচ্চা হাতিও আছে। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে এলাকায়। আমরা এলাকা ফাঁকা করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। তবে দিনের আলোতে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়তে পারে হাতিরল পাল। সন্ধের মধ্যে তারা জঙ্গলে ফিরে না গেলে তখন পদক্ষেপ করা যাবে।” উল্লেখ্য, ওই এলাকার পাশেই রয়েছে লাটাগুড়ির জঙ্গল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest