Fighting with the tiger, the two companions brought the fisherman back

বাঘের সঙ্গে লড়াই করে মৎস্যজীবীকে ফিরিয়ে আনল দুই সঙ্গী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নদীতে কাঁকড়া ধরে নৌকায় শুয়ে গল্প করাই কাল হল মৎস্যজীবীদের (Fisherman)। সুন্দরবনের (Sundarban) জঙ্গল থেকে বাঘ (tiger) বেরিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নৌকায়। মৎস্যজীবী (Fisherman) লখিন্দর সাঁপুইয়ের  মাথায় কামড় বসিয়ে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অপর দুই সঙ্গী লাঠি, বৈঠা নিয়ে সঙ্গীকে বাঁচাতে বাঘের (tiger) দিকে তেড়ে যায় (Fight with tiger)।

জখম অবস্থায় তাঁকে সোমবার রাতে নিয়ে আসা হয় কুলতলির জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে গত সোমবার কুলতলির দেউলবাড়ির চিতুরি মুখ এলাকার বাসিন্দা সৌমিত্র সরদার, লক্ষ্মীন্দর সাপুই, ইব্রাহিম শেখ সুন্দরবনের বেণীফেলি জঙ্গলের কাছে নদীতে কাঁকড়া শিকারে যায়। সোমবার দুপুর ১২-৩০টার পর কাঁকড়া ধরে তাঁরা নৌকায় শুয়ে গল্প করছিল। সেইসময়েই বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আক্রমণ করে। তেসরা নভেম্বরও মৎস্যজীবীর ওপরে বাঘের হামলার ঘটনা ঘটেছিল। বছর বাহান্নর মৃত ওই ব্যাক্তির নাম শ্রীনিবাস মন্ডল। বাঘের সঙ্গে লড়াই করে সঙ্গীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন সহযোগী মৎস্যজীবীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে।

মৈপীঠ কোস্টাল থানার কিশোরী মোহনপুরের বাসিন্দা শ্রীনিবাস মন্ডল। তাঁর বয়েস হয়েছিল ৫২ বছর । সোমবার দুই সঙ্গীকে নিয়ে কিশোরীমোহনপুরের ঘাট থেকে নৌকায় করে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে রওনা দেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর চোখ লেগে আসে। আচমকাই তিনজনই ঘুমিয়ে পড়েন নৌকাতে। চারিদিকে চুপচাপ, শুধু নদীর বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজ। বহু বছরের অভিজ্ঞতাও যে হার মানবে সেদিন, কেউ কল্পনাতেও আনেননি। ঘুমোনোই কাল হল। এমনই সময় অজান্তেই বাঘ এসে শ্রীনিবাসের ঘাড়ে আক্রমণ করে। আর্তনাদে মুহূর্তেই ভেঙে যায় নিস্তব্ধতা।

দুই সঙ্গী তাঁদের বন্ধুকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে। এবং বাঘের সঙ্গে লড়াই করে শ্রীনিবাসকে শেষ অবধি ছাড়িয়ে নিয়ে আসলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।বাঘের হামলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয় শ্রী নিবাসের। যার ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে বাঘের হামলায় মৃত্যু প্রথমবার নয়, চলতি বছরে একের পর এক জলজ্যান্ত উদাহরণ রয়েছে। তবুও প্রাণের দায়ে সেই জীবনের ঝুকি নিয়ে একই পথে সুন্দরবনবাসী।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest