Site icon The News Nest

প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল

rabiranjan chattopadhyay

ফের শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। হাই সুগার ও বার্ধক্যজনিত রোগেও ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

২০১১-র বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বদল হয়েছিল তৃণমূলের। সেবার প্রথম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শিক্ষাবিদ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ভোটে জেতেন তিনি তৃণমূল সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য় হন রবিরঞ্জন। কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দফতরের দায়িত্ব পান তিনি।  ২০১৬-র ভোটেও একই আসন থেকে ফের জয়ী হন। তবে, মন্ত্রিত্ব পাননি বর্ধমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই অধ্যাপক।  একুশের বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য নিজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। দুই লাইনে সেই চিঠিতে আর ভোটে না দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কেন? বয়স ও অসুস্থতা কথা উল্লেখ করেছিলেন। শেষপর্যন্ত তাঁকে প্রার্থীও করেনি তৃণমূল।

প্রাক্তন এই মন্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন তাঁকে কলকাতার হাসাপাতালে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বর্ধমান দক্ষিনের বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই বর্ধমানে শোকের ছায়া নেমে আসে।

রাজনীতির পাশাপাশি রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। রাজ্যে পালাবদলের আগে প্রাক্তন বাম সরকারের বিরুদ্ধে নানা আন্দোলনে তাঁকে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছিল। সমর্থন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে।

Exit mobile version