কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) পর্যুদস্ত বিজেপি। এবার রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলির ভোটের দিকেই নজর। আর তার আগে বিজেপিতে ভাঙন যেন লেগেই রয়েছে। ফের ফুল বদল করলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা ধরতিমোহন রায়। ফের তৃণমূলে ফিরলেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পদ্মশিবিরে গুরুত্ব না পাওয়ায় দলত্যাগ।
গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি আসনের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন ধরতিমোহন রায়। তবে পরাজিত হন তিনি। অভিযোগ করেন, দলের একাংশের অঙ্গুলিহেলনেই পরাজয়। অসন্তোষের জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছাড়েন। যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাবেন বলেই ভেবেছিলেন। তবে তা পাননি। দলেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদও পাননি। কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছিল তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ধরতিমোহনের দলত্যাগের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল। রবিবার জল্পনার অবসান। ফের তৃণমূলে ফিরলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: পুজো এবার ১৫ দিন! আগামী বছর ১০ দিন আগে শুরু হবে দুর্গোৎসব, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
অন্যদিকে, মতুয়া-ক্ষোভে উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচ বিজেপি বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পর এ বার অন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন বাঁকুড়ার চার বিধায়কও। এঁরা হলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া।
সোমবারই রাজ্যে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ এসেছেন। নতুন জেলা কমিটি এবং নতুন জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। তার ঠিক আগে এমন ঘটনা যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
আরও পড়ুন: রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তি, আগামী বছর ফের বেলুড় মঠে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী