বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের প্রতিশ্রুত বিনিয়োগের কত শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে, কত জন চাকরি পেয়েছেন সেই সব শিল্পে, এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ফের বিস্তারিত জানতে চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর আগে, একাধিক টুইটে বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মত প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি তোলেন।
সোমবার রাজ্যের শিল্পোদ্যোগে পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পরেই মঙ্গলবার একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন রাজ্যপাল। এরপর রাজ্যের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র তাঁর উত্তর দেন। টুইট করে বলেছিলেন, রাজ্যপালকে তিনি চারপাতার চিঠি পাঠিয়েছেন। রাজ্যপাল যে আচরণ করছেন, তা ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইডের ক্লাসিক কেস। দিনে এক কথা বলছেন তো, রাতে এক কথা। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ৯ নভেম্বর রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সবরকমের সাহায্য তিনি করবেন। আর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি তার অবস্থান বদল করে ফেলেন। একবছর আগে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠি তিনি প্রকাশ করেছেন। রাজ্যপালের এই অবস্থান দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন অমিত মিত্র।
রাজ্যপাল অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অমিত মিত্রের টুইটের জবাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি কখনই অমিত মিত্রের কাছ থেকে এত নিচু ব্যবহার আশা করেনননি। অমিত মিত্র তাঁর পাঁচ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন বলেও দাবি করেছিলেন রাজ্যপাল।
Time @DrAmitMitra Chief Economic Advisor @MamataOfficial to respond to five issues flagged #BGBS. His four page discourse skips these altogether. pic.twitter.com/g51mIC73zI
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 11, 2021
রাজ্যপালের পাঁচ ইস্যু রাজ্যপাল যেসব সব প্রশ্ন রাজ্য সরকারের কাছে করেছিলেন, সেগুলি হল-
১) ২০১৬ সাল থেকে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের (BGBS) জন্য প্রতিবছরে কত টাকা খরচ করা হয়েছে?
২) শিল্প সম্মেলন করতে কোন কোনও সংস্থার মাধ্যমে টাকা খরচ করা হয়েছিল?
৩) শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করতে কোন কোন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছিল, ফিকির মাধ্যমে কি টাকা দেওয়া হয়েছিল?
৪) ২০১৬ সাল থেকে কতগুলি মৌ স্বাক্ষর হয়েছিল, বিনিয়োগ কত হয়েছে, চাকরিই বা কতজন পেয়েছেন?
5) ২০১৬ সাল থেকে শিল্প সম্মেলন করে কোন সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার, যেমন কত বিনিয়োগ হয়েছে, কত চাকরি হয়েছে?
রাজ্যপাল এদিন সকালে এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রকে নিশানা করেন। অমিত মিত্রের পাঠানো চিঠিতে এইসব প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই বলেও দাবি করেছেন রাজ্যপাল।