হলদিয়ার lতৈল শোধনাগার অর্থাৎ আইওসি (Haldia IOC)-তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মঙ্গলবার দুপুরের এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । আহত কমপক্ষে ৪০ জন। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধিকাংশ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকলের ৭-৮টি ইঞ্জিন।
কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ হলদিয়া তেল শোধনাগারের একটি টাওয়ারে আগুন ধরে যায়। সেই সময় ওই টাওয়ারে কয়েক জন কর্মী কাজ করছিলেন। জায়গাটিতে অতিদাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে থাকা এক শ্রমিক বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই ওই টাওয়ারে শাটডাউনের কাজ চলছিল। কাজ করছিল মুম্বইয়ের একটি সংস্থা। ঘটনার সময় ওয়েল্ডিংয়ের আগুন ছিটকে গিয়েই টাওয়ারে আগুন লেগে যায়।’’ একাংশ কর্মী জানিয়েছেন, হতাহতদের অধিকাংশই ভিন্রাজ্যের বাসিন্দা। তবে স্থানীয় কিছু যুবকও এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দীঘায় হবে পুরীর ধাঁচে জগন্নাথ মন্দির, ১২৮ কোটি বরাদ্দ মমতার
আগুন দেখে তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজ শুরু করে কারখানার দমকল বাহিনী। এঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুরু হয় আগুন আয়ত্তে আনার কাজও। ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জখমদের মধ্যে অনেকেই ঠিকা শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে।
দুর্ঘটনার কিছুটা পরে কারখানার তরফে দেওয়া একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর দু’টো বেজে ৫০ মিনিটে এমএসকিউ টাওয়ারে শাটডাউন সংক্রান্ত কাজ চলার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝলসে গিয়ে জখম হয়েছেন ৪৪ জন। আগুন দ্রুত আয়ত্তে এসেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল আজগর আলি জানান, “বিপজ্জনক জায়গায় আরও বেশি সতর্কতা বজায় রেখে কাজ করা উচিত ছিল। গোটা ঘটনায় কারখানার গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। হলদিয়া তৈল শোধনাগারে এত বড় দুর্ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।’’
আরও পড়ুন: ফের গোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়লেন, যোগ দিলেন তৃণমূলে