বাংলায় (Bengal) শীতের পথে কাঁটা সেই নিম্নচাপ। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সপ্তাহান্তে ফের ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। যার প্রভাবে শুক্রবার সন্ধে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। তার জেরেই বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সপ্তাহ শেষে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। বৃষ্টি (Rain) হতে পারে কলকাতাতেও। ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলার দুই ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
অন্যদিকে, ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুনামির। তিনি জানিয়েছে, ধীরে ধীরে জলস্তর বাড়ছে। সমুদ্রের জলস্ফীতি ঘটছে। যার অর্থ ভূমিভাগ ধীরে ধীরে জলের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মোটামুটিভাবে ২৯ শতাংশ ভূমি। আর ৭১ শতাংশ জলভাগ। এই স্থলভাগ এবং জলভাগের ভারসাম্য বজায় থাকার কথা। কিন্তু, সমুদ্রের জল বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে ভূমিভাগ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। কাজেই জলভাগের বিস্তার বাড়বে। অর্থাৎ এই দু’টি সারফেসের মধ্যে যে ভারসাম্য ছিল তা নষ্ট হবে। এর ফলে মাটির নিচে যে টেকটনিক প্লেট রয়েছে তা দ্রুত গতিতে সক্রিয়তা লাভ করবে। তার ফলে ভূমিকম্পের পরিমাণ দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করবে। বারংবার ভূমিকম্প হবে।
গবেষণা বলছে, দক্ষিণবঙ্গের একটা বড়সড় অংশ এভাবেই জলের তলায় চলে যেতে পারে। শুধু কলকাতা নয়। মুম্বই, দিল্লি, কোচি সহ ভারতের ১২টি মেট্রো শহর ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাবে। পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ।