পর্যটনে ভরা মরশুমে নাগাড়ে বর্ষায় ব্যবসা মার খাওয়ার আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন দার্জিলিং পাহাড়ের ব্যবসায়ীরা। শুধু দার্জিলিং পাহাড় নয় সিকিমগামী সড়কেও ধস নেমেছে। যার ফলে বহু জায়গায় আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। ধস নেমে বন্ধ সান্দকফুর রাস্তা। এক কথায় পুজোর পর পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে দিনভর হোটেলবন্দি হয়ে রইলেন পর্যটকরা। এত খারাপের মধ্যে একটাই ভালো খবর, সোমবার উত্তর সিকিমে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে দার্জিলিং, তাকদা, কালিম্পঙের পাশাপাশি বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও। রিম্বিকের পালমাজুয়া সেতুর কাছে ধস নেমেছে। ফলে ওই রাস্তা বন্ধ। এসব রাস্তা মেরামতে অনেক সময় লাগে। সান্দাকফুর রাস্তায় এ রকম হলে বিপদ বাড়তে পারে। তাই আগে ভাগেই পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুণ্যবালম বলেন, ‘ধসের কারণে রিম্বিক ও সান্দাকফু ট্রেকিং আপাতত বন্ধ।’
এতে মন খারাপ বহু পর্যটকের। কারণ পুজোর পর বহু পর্যটক ট্রেকিংয়ের জন্য যান সেখানে। তাগদা–তিনচুলে এবং কালিঝোরা–রংপোর রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বহু পর্যটক সেখানে যেতে পারছেন না। আবার যাঁরা রয়েছেন, ফিরতে পারছেন না। তাকদায় ধসে একটি বাড়িও ভেঙে পড়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে।
কালিম্পং এবং লাভার রাস্তাতেও ধস নেমেছে। ফলে ভেঙে গিয়েছে রাস্তা। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সিকিমের কাছে একটি গাড়ি খাদে পড়ে গিয়েছে। যাত্রীরা গুরুতর আহত। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুরে।