একুশের নির্বাচনের পর থেকে বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুরু হয় কর্মী–সমর্থক দিয়ে। তারপর ধাপে ধাপে ভাঙন ধরে নেতা–বিধায়ক–সাংসদ ব্যাঙ্কে। এমনকী আরও ভাঙবে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন তাঁরা ঢ্যাঁড়শ, মূলো। এমনই কটাক্ষ শোনা গেল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের গলায়।
বাংলার রাজনীততে বহুচর্চিত নাম মদন মিত্র (Madan Mitra)। বিভিন্ন রূপে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে অভিনত্বের ছোঁয়া থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁকে (Madan Mitra) বলেছিলেন ‘কালারফুল’। রবিবার যেমন দেখা গেল তাঁকে (Madan Mitra) এক নয়া ভূমিকায়। এদিন তিনি এক পুজো কমিটির উদ্বোধনে এসে গান করলেন। মাইক হাতে বক্তৃতা তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। তবে গান করবেন, কেউ ভাবতে পারেননি বোধহয়। আর মাতিয়ে দিলেন পুজো।
রবিবার বনগাঁ শিমুলতলা আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাবের ৩৬তম দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, কামারাহাটির বর্তমান বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। ছিলেন বিধায়ক – অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র সহ অন্যানরা। এদিন তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কুমড়ো বলে কটাক্ষ করেন। এমনকী গান করলেন, ‘কুমড়োগুলো ফুলো ফুলো অনেক দামে বিক্রি হল, সঙ্গে ছিল ঢ্যাঁড়শ–মূলো সব ব্যাক করছে।’
৩৬ তম বর্ষের এই পূজা প্রধান পৃষ্ঠপোষক বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। মদন মিত্রের (Madan Mitra) একদা অনুগামী শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা রাজনীতিতে রয়েছে নানান বিতর্ক। আর বনগাঁর রাজনীতিতে তাঁকে ঘিরে দলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল। দলের নির্দেশ ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে শঙ্কর আঢ্যকে। এই দিন সেই বনগাঁর মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া ও পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন “শঙ্কর মন খারাপ করলে হবে না পঞ্চমীতে মায়ের কাছে প্রার্থনা, সাফল্য দাও সবাইকে।” সেই সঙ্গে ইঙ্গিত ও দিয়ে রাখলেন আগামী দিনে বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক চাবিকাঠিও ফিরবে শঙ্কর আঢ্যের কাছে।
মঞ্চ থেকেই এদিন তাঁর পরিস্কার ঘোষণা “আমি বাংলার ক্রাশ হতে চাই না। আমি চাই বিজেপি যখন দাঙ্গা করবে, তখন এই বনগাঁয় ত্রাস হতে চাই।”