Site icon The News Nest

Mahua Moitra: ভোটের মুখে বাড়িতে CBI তল্লাশি, কমিশনে নালিশ মহুয়ার

Mahua Moitra

সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর দাবি, সিবিআই তাঁর নির্বাচনী প্রচারে কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাঁকে সর্বসমক্ষে হেনস্থা করছে। একটি চিঠি দিয়ে কমিশনকে সিবিআইয়ের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতেও বলেছেন মহুয়া।

মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে প্রথম টাকার বদলে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনিই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি লেখেন। লোকপালকেও চিঠি লেখেন তিনিই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। দুবের অভিযোগের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত সাংসদ পদ হারান তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী। মহুয়ার বিরুদ্ধে ইডি আগে থেকেই তদন্ত করছে। বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ মার্চ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের ভার দেন লোকপাল।

সেই সঙ্গে নির্দেশ দেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিবিআইকে এই মামলায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন লোকপাল। সেই নির্দেশ মতো দুর্নীতি দমন আইনেই বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। আর তার পরই শনিবার মহুয়া মৈত্রর চার ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। আলিপুরের ‘রত্নাবলী’ নামে এক আবাসনে যায় সিবিআই। ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন ব্যবসায়ী ডি এল মৈত্র। তিনি সম্পর্কে মহুয়ার বাবা। এছাড়া কৃষ্ণনগর ও করিমপুরের বাড়ি এবং দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

সেই তল্লাশি অভিযান নিয়েই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন মহুয়া মৈত্র। নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে মহুয়া প্রশ্ন করেছেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর যখন গোটা দেশে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ করা হয়েছে, তখন রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে গিয়ে এই ধরনের তল্লাশিও কি আদর্শ আচরণের বিরোধী নয়?

মহুয়ার যুক্তি, যেখানে ভোট ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সমতা রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে সংবিধানে, যেখানে সেই দায়িত্ব রয়েছে খোদ নির্বাচন কমিশনেরই হাতে, সেখানে কী ভাবে কমিশন এই ধরনের তল্লাশি চালানোর অধিকার দিচ্ছে সিবিআইকে! এ কথা কী করে ভুলে যাচ্ছে কমিশন যে, সিবিআই কেন্দ্রের অধীনস্থ তদন্তকারী সংস্থা। ফলে তার নিয়ন্ত্রণও কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা শাসকদলের হাতেই থাকা স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে তারা নির্বাচনী ফয়দা তুলতে এই ধরনের সংস্থার ব্যবহার করতেই পারে।

Exit mobile version