mamata banerjee asks for a permanent solution for darjeeling from the local leaders

স্থায়ী সমাধানে প্ল্যান দিন; পাহাড়ের নেতাদের থেকে ‘প্ল্যান’ চাইলেন মমতা, নাম নিলেন না গুরুঙের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার দার্জিলিং-কার্শিয়াঙের প্রশাসনিক বৈঠকে পাহাড়ের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, উন্নয়নের বিষয়েও জানান মমতা৷ এ কাজে সহায়তা করতে পাহাড়ে ছোট-বড় রাজনৈতিক গুলির থেকে পরিকল্পনা চাইলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাকে সুযোগ দিন। পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করে দেব।”

মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাহাড়ের সামনে উন্নয়নের প্রচুর সুযোগ আছে। সেজন্য পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন আছে। তবে দার্জিলিং যে পশ্চিমবঙ্গেই থাকবে, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেখ, অনীত (থাপা) তুমি নতুন পার্টি তৈরি করেছ। অনেক অভিনন্দন। রোশনরাও গিরি) এখানে আছেন। তোমাদের একটা কথা বলতে চাই, অনেক রাজনৈতিক দল আছে। তৃণমূল কংগ্রেস তো আছেই। ছেড়েও দাও। তৃণমূল যেটা বলবে, সেটাই করবে। তোমরাও কথা শুনবে। তোমরাও কথা শুনছ। সেটা নয়। কাজ করেছ। অনেক কাজ করার অভিজ্ঞতা তোমাদেরও হয়েছে, ওদের হয়েছে। অনেক কাজ তোমরা করেছ। কিছু কিছু পলিটিকাল পার্টি ইলেকশনের আসে। দার্জিলিংকে রাজ্য বানিয়ে দেব – উলটোপালটা বলে পালিয়ে যায়। আজ প্রতি বছর সাংসদ জিতছে। বিধায়ক একটি বাদ দিয়ে সবকটা জিতেছে। এদের আসল উদ্দেশ্য হল – তোমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রাখা। এবার যদি তোমাদের বলি, তোমরাই আমাদের একটা প্ল্যান (পরিকল্পনা) দাও, কীভাবে পার্মানেন্ট সলিউশন (স্থায়ী সমাধান) করা যায়। দার্জিলিং বাংলার মধ্যে থেকেও আমি তোমাদের মদত করব (পশ্চিমবঙ্গেরই অংশ থাকবে দার্জিলিং)। আমি মদত করতে রাজি আছি। যাতে তোমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। প্রচুর স্কোপ (সুযোগ) আছে। কিন্তু ১০ বছর পরপর একটা করে মুভমেন্টে টোটালটা ভাঙচুর করে দিয়ে চলে যায়। লোকে ভয় আসে না।’

আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সেই পরিকল্পনা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। সেইসঙ্গে তিনি জানান, ছটপুজো মিটে গেলেই আগামী নভেম্বরে ফের পাহাড়ে আসবেন। সেই পরিকল্পনা তৈরির জন্য একটি কমিটির গঠনের পরামর্শ দেন মমতা। তাতে যে চার-পাঁচজন সদস্য রাখতে বলেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন অনীক, রোশন, অমরনাথ রাই এবং গৌতম দেব। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুঙের নাম করেননি মমতা। তাঁদের মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকেও দেখা যায়নি।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলার মধ্যে থাকলেই উন্নতি হবে পাহাড়ের। এই অঞ্চলে বিভাজনের রাজনিতি চলবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। দার্জিলিং-এ আইটি হওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। সবাই মিলে বসে দার্জিলিং-কে উন্নত করার প্লান করার জন্য আহবান জানান তিনি। ২০২৩ সালের মধ্যে সব বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পাহাড়ের মানুষ ব্যাবসায় বিনিয়োগ করলে সেক্ষেত্রেও সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

GTA-র নির্বাচন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলেই GTA নির্বাচন করবে রাজ্য। পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে চায় সেখানকার দলগুলো। সেক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব না হলে দ্বিস্তরীয় নির্বাচনের প্রস্তাব দেন রোশন গিরি।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest