Mamata Banerjee recalls history of Krishnanagar royal family

Mamata Banerjee: ‘ইতিহাস ঘাঁটলে বিপদে পড়বেন’, কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীকে মমতার তোপ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

‘বিজেপির মুখোশ খুলতে হলে মহুয়াকে জেতাতে হবে।’ লোকসভা ভোটের প্রথম প্রচার থেকেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়ের পারিবারিক ইতিহাস তুলে প্রধানমন্ত্রীকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তিনি। মহুয়া মৈত্রকে পাশে নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন মমতা।

ভোটের দামামা বাজিয়ে রবিবার থেকে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম জনসভার জন্য তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেছে নিয়েছিলেন নদিয়ার ধুবুলিয়া। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রচার শুরু করলেন তিনি। মহুয়াকে কেন লোকসভা থেকে ‘তাড়িয়েছে’ বিজেপি, সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়ের পরিবারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে খোঁচা দিলেন মমতা।

ধুবুলিয়ার সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ থেকে রবিবার মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি শুধু মিথ্যা কথা বলে। এখানে যিনি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁর ইতিহাস ঘাঁটলে কিন্তু ওরা বিপদে পড়বে।’’

এর পরেই ইতিহাসের পাতা ওল্টানোর হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ইংরেজের সঙ্গে যখন যুদ্ধ চলছিল, লর্ড ক্লাইভের বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এক জন। বাংলার স্বাধীনতার যুদ্ধকে খতম করতে চেয়েছিলেন। সিরাজউদ্দৌলাকে বাংলার মানুষ সমর্থন করেন। মীরজাফরকে করেন না। সিরাজ ভাল কি খারাপ আমি তা নিয়ে আলোচনা করছি না। কিন্তু ক্লাইভের সেই বন্ধুর নাম টেনে এনেছে বিজেপি। মোদীবাবু কি ইতিহাস ভুলে গেলেন?’’

অমৃতার নাম না করে মমতার আক্রমণ, ‘‘ওঁকে রাজমাতা বলা হচ্ছে। কিসের রাজমাতা? কে রাজা? আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। এখন তো সবাই প্রজা, রাজা বলে কেউ নেই। কেউ যদি রাজা থাকেন, তা হলে রাজপ্রাসাদে গিয়ে থাকুন। মানুষের কাছে মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। যদি নেন, তা হলে কিন্তু আমি ইতিহাসের পাতা ওল্টাব। আর ইতিহাসের পাতা ওল্টালে কিন্তু জায়গা পাবেন না। মানুষ আপনাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেন।’’

তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “লোকসভায় মহুয়া জোরে জোরে কথা বলত। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হত বলে মহুয়াকে টার্গেট করেছে। ভোটে দাঁড়ানোর পর ওর বাবা-মাকেও ছাড়ছে না।” সভা শেষে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “ওদের মুখোশ খুলতে হলে মহুয়াকে আবার জেতাতে হবে।”

কিছু দিন আগে অমৃতার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। বিজেপির তরফেই ওই ফোনালাপ প্রকাশ করা হয়। সেখানে মোদীকে বলতে শোনা যায়, বাংলা থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত করতে গিয়ে ইডি যে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, তা রাজ্যের গরিব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন তিনি। ওই ফোনালাপ নিয়ে রবিবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেটা আবার বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। তা হলে আর গোপনীয়তা থাকল কই? মোদী শুধু মিথ্যা বলেন। যাঁকে উনি ফোন করছেন, তিনিও কিন্তু এই সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ সুবিধা পান।’’ তিন হাজার কোটি বাংলার মানুষের মধ্যে বণ্টন করা হলে প্রত্যেকে ২১ টাকা করেও পাবেন না বলে জানিয়েছেন মমতা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest