উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই বিপুল ব্যবধানে জয়ের পথে তৃণমূল প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে জয় ঘোষণার আগেই টুইটে এল মমতার শুভেচ্ছা। তিনি লিখলেন, ‘আমি চার জয়ী প্রার্থীকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা মানুষের জয়। কারণ বাংলার মানুষ ঘৃণা এবং মিথ্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে উন্নয়ন ও একতাকে বেছে নিয়েছেন। আমরা বাংলাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’তিনি আরও লেখেন, ‘এই জয় জনগণের জয়। কারণ এই জয় দেখায় কীভাবে বাংলা সর্বদা অপপ্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির পরিবর্তে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে। জনগণের আশীর্বাদে আমরা বাংলাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি!’
কোচবিহারের দিনহাটা, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা এবং নদিয়ার শান্তিপুরে ভোট গণনা শুরু হতেই জয়জয়কার শুরু হয় তৃণমূলের। বেলা বাড়তেই ব্যবধান বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থীরা। প্রতিটি আসনেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। যেই চার আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তার দুটি বিজেপির জেতা আসন ছিল। তবে সেই দুটি আসনও বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল।
গোসাবা ও দিনহাটায় রীতিমতো তৃণমূলের ঝড় বয়েছে। দুই আসনেই জয়ের ব্যবধান বিশাল। গোসাবায় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজারের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। অপরদিকে দিনহাটায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজারের রেকর্ড ব্যবধানে জিতে ৫৭ ভোটে হারার ‘বদলা’ নেন উদয়ন গুহ। অপরদিকে খড়দহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং শান্তিপুরে ব্রজকিশোর গোস্বামীও বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন।
এই আবহে টুইট এল কালীঘাট থেকে। দলের বিপুল জয়ের কাঁধে চেপে আগামী দিনে বাংলাকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সংকল্প ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী। নেত্রীর শুভেচ্ছা পাওয়ার পর জয়োল্লাসে মেতেছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।