উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সময় পেলেই প্রাতঃভ্রমণে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী কার্শিয়াংয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। তারপর বুধবার সকালে কার্শিয়াংয়ের সার্কিট হাউস থেকে প্রাতঃভ্রমণে যান। প্রথমে কার্শিয়াংয়ের মহানদী পর্যন্ত যান। সেখানে ঘুরে দেখেন।বাজার৷ বাজারের একটি দোকান থেকে কেনাকাটাও সারেন। তারপর হেঁটেই ফিরে আসেন সার্কিট হাউসে।
পাঁচদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পর পর দু’দিন প্রশাসনিক বৈঠক সেরেছেন তিনি। মঙ্গলবার কার্শিয়াংয়ের সার্কিট হাউজে রাত্রিবাস করেছেন তিনি। এদিন একটু বেলা গড়াতেই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সাড়ে দশটা নাগাদ সার্কিট হাউজ থেকে রওনা দেন তিনি। প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে চলে আসেন মহানদী ভিউ পয়েন্ট গিদ্দায়।
রাস্তায় আসতে আসতে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা। দু’বছর পর তিনি কার্শিয়াংয়ে রাত্রিবাস করছেন। এই দু’বছরে পাহাড়বাসী কী পেয়েছেন, কী পাননি, তা এলাকাবাসীর জবানিতেই শুনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা যায়, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাচ্চাকে বেশকিছুক্ষণ ধরে আদরও করেন মমতা। এর পর সোজা চলে আসেন মহানদী পয়েন্টে। সেখানে একটি চায়ের দোকানের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পড়ন তিনি। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে দোকানির সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প জুড়ে দেন। তাঁদের আড্ডায় যোগ দেন অরূপ বিশ্বাসও।
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পাহাড়ের মানুষরা উলের জিনিস বানান। এর থেকে স্থানীয়দের রোজগার হয়। পাহাড়ের বাসিন্দারা যেহেতু মোটা উলের সোয়েটার বানান, তাই তিনি তাঁদের সরু বা পাতলা উলের সোয়েটার বানানোর পরামর্শ দেন। মহানদীর বাজারের সোয়েটার বিক্রেতাদেরও পাতলা উলের সোয়েটার বানানোর পরামর্শ দেন মমতা।
পরে তাঁদের আড্ডায় যোগ দেন ইন্দ্রনীল সেনও। পাহাড়ের ফুরফুরে আবহাওয়ায় তাঁকে গান শোনাতেও অনুরোধ করেন। গান শোনান তিনি। সবমিলিয়ে জমজমাট ছিল পাহাড়ের আড্ডা। পরে একটি দোকান থেকে দু’জোড়া জুতোও কেনেন তিনি। তাঁর মধ্যে বাচ্চার জুতোও ছিল। আর একটি ছিল নিজের জন্য চপ্পল। মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘরের মেয়ে’ সুলভ আচরণে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত পাহাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা।