ব্লাউজ বানাতে আসা এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই বিজেপি নেতা দর্জির কাজ করেন। সেখানেই ব্লাউজের মাপ দিতে এসে ওই মহিলা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। রবিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে।
অভিযোগকারিনীর স্বামী জানিয়েছেন, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দোমোহনিতে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন স্ত্রী। সেখানে দোমোহনি ১ নম্বর অঞ্চলের বিজেপির কনভেনর ও পেশায় দর্জি সঞ্জীব দাসের কাছে একটি ব্লাউজ বানাতে দেন তিনি। রবিবার ব্লাউজটি দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, সঞ্জীব ওই বধূকে জানান, মাপে গোলমাল হওয়ায় ব্লাউজটি তৈরি করা যায়নি। আবার মাপ নিতে হবে। সেই মতো ফের ব্লাউজের মাপ নেওয়া শুরু করেন তিনি। অভিযোগ, তখন ফাঁকা দোকানে বধূর শ্লীলতাহানি করেন সঞ্জীব।
কোনওক্রমে নিজেকে ছাড়িয়ে পাশে একটি বিউটি পার্লারে আশ্রয় নেন বধূ। বিউটি পার্লারের কর্মীরাই বধূর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে বধূর স্বামী সঞ্জীবের দোকানে গেলে তিনি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। এর পর ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বধূর স্বামী। অভিযোগ পেয়ে সঞ্জীবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এই ঘটনা ঘিরে সরগরম হয়েছে ময়নাগুড়ির রাজনীতি। বিজেপি এবং তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়েছে পরিস্থিতি। ধৃত বিজেপি নেতার অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।এ বিষয়ে বিজেপি নেতা চঞ্চল সরকার বলেছেন, “আমাদের এক নেতাকে উঠিয়ে আনা হয়েছে থানায়। যেহেতু বিজেপি করে, তাই শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।” এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোজ রায় বলেছেন, “পোশাক বানাতে গিয়ে ওই মহিলা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে শুনলাম। ওই দর্জি স্থানীয় বিজেপি নেতা। বিজেপি মহিলাদের সম্মান করে না। সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখতে পায়। কোনও ভদ্র পরিবারের মহিলা নিজের সম্ভ্রম নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করতে যাবেন না। এখন ধরা পড়ে রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে বিজেপি।”