বর্ষার শুরু থেকে বেশ হাঁকিয়ে ব্যাটিং করছে বর্ষা (Monsoon)। সঙ্গে রয়েছে নিম্নচাপের দাপট। রবিবারেও তাই বৃষ্টি থেকে মুক্তি নেই কলকাতাবাসীর। এদিন সকাল থেকেই শহরের আকাশের মুখভার। দশটা থেকে প্রবল বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। উত্তরবঙ্গের ছবিও একইরকম। রবিবার এবং সোমবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।
সকাল থেকেই আজ কলকাতার আকাশের মুখ ভার। বেলা বাড়তেই শুরু হয় মেঘের গুরুগুরু। এগারোটার পর নামে বৃষ্টি। শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের জমানায় মানবিক হয়েছে পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ SP সেই নগেন্দ্র ত্রিপাঠী
কোনও কোনও জেলায় মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। রাজস্থান থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত। এই অক্ষরেখা বিহার ও উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে গেছে। এর প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বৃষ্টি (Rain0) চলবে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার-সহ পাঁচ জেলায় সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। বাড়বে নদীর জলস্তর। নীচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই বিপদগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি অতি ভারী বৃষ্টি হবে বিহারে। প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা অসম ও মেঘালয়েও। উত্তর-পূর্ব ভারতের মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আরও পড়ুন: বেলঘরিয়ায় তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা, চলল গুলিও, জখম ২