Nandigram of Shamuktala Alipurduar became mamatamayi ‌ nagar

বদলে গেল নন্দীগ্রামের নাম; মানুষের দাবিতে নতুন নাম ‘‌মমতাময়ী নগর’‌

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নন্দীগ্রাম—এই নাম দুটি একে অন্যের সঙ্গে জড়িত। তাই এই নন্দীগ্রামের নাম হল মমতাময়ী নগর। শুনতে অবাক লাগলেও এখন এটাই বাস্তব। কিন্তু এই নন্দীগ্রাম পূর্ব মেদিনীপুরের আন্দোলন থেকে উঠে আসা নাম নয়। এই নন্দীগ্রামের জেলা আলিপুরদুয়ার। তবে এই ঘটনার পিছনে একটা ইতিহাস আছে। যার জেরেই নন্দীগ্রাম হয়ে ওঠে মমতাময়ী নগর।

শামুকতলার পটোতলা এলাকার একটি অংশে দু’দশক আগে জনবসতি গড়ে ওঠে। শুরু থেকেই সেখানে জমিজট একটা বড় সমস্যা ছিল। তার ফলে জল ও বিদ্যুৎ থেকেও এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন বলে দাবি। এর পরে যখন নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন হয়, তার থেকে উৎসাহ পেয়েই নিজেদের এলাকাকে নন্দীগ্রাম বলতে শুরু করেন বাসিন্দারা। খাতায়কলমেও উঠে যায় সেই নাম।

এত বছরের আন্দোলনের পরে শেষে শনিবারই প্রথম বিদ্যুৎ পৌঁছয় এলাকায়। তার পরই নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের জায়গার নাম রাখেন ‘মমতাময়ী নগর’। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শিবানী দেবনাথ বলেন, “দীর্ঘদিন মামলা চলার পর এ দিনই প্রথম গ্রামটিতে বিদ্যুৎ পৌঁছায়। তার পরেই স্থানীয়রাই গ্রামের নাম মমতাময়ী নগর করতে চান।” একই যুক্তি তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামীরও।

শামুকতলা অঞ্চল সহ-সভাপতি ভোলা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আসলে নন্দীগ্রামের সঙ্গে এমন এক জনের নাম জড়িয়ে রয়েছে, যিনি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই নাম থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন।’’ কিন্তু নন্দীগ্রাম নামটা কি শুধু একজনের সঙ্গেই যুক্ত? এই আন্দোলনের নেতৃত্বে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ছিলেন। তৃণমূল জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘‘তাই তো মুখ্যমন্ত্রী নামেই গ্রামের নাম চাইছেন বাসিন্দারা।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest