আত্মহত্যা করলেন জাতীয় স্তরের ক্যারাটে খেলোয়াড় পামেলা অধিকারী (১৪)। পরিবারের অভিযোগ, পামেলাকে ব্ল্যাকমেল করত এক যুবক। ওই যুবকের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল বলে দাবি পামেলার পরিবারের। ঘটনাটি হাওড়ার বালির।
বালির দেশবন্ধু ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি পামেলার। রবিবার রাতে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পামেলার ঝুলন্ত দেহ। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে এলে তাঁরা বালি থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বালি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই ঘটনায় সানি খান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে পামেলাকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পামেলার দিদি প্রিয়ঙ্কা অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘বছর দুয়েক ধরে সানি নামে যুবক আমার বোনের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যেই সানি অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে। সানি আমার বোনের থেকে কৌশলে ব্যক্তিগত মুহূর্তের নানা ছবি নিয়েছিল। তা দেখিয়ে নানা সময়ে ব্ল্যাকমেল করত।’’ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ব্ল্যাকমেলের চাপে পড়েই ওই কিশোরী শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। নিশ্চিত হতে পুলিশ পামেলার আত্মীয় এবং বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের ‘শাসনে’ অচল বিশ্বভারতী! ক্ষোভ অধ্যক্ষ-সহ অধ্যাপকদের,ইস্তফা একাধিকের
অভিযুক্ত সানির বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছে বালি থানার পুলিশ। আচমকা এমন ঘটনায় হতবাক পামেলার বাবা মলয় অধিকারী। তিনি বলছেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছে এখনও আমরা বুঝতে পারছি না। কেন সে আত্মহত্যা করল জানি না। এ ভাবে মেয়েটা চলে যাবে মানতে পারছি না।’’ মলয়ের বক্তব্য, ‘‘আমার মেয়ে খেলাধূলা, পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিল। ও খুব মিশুকে ছিল।’’
মেয়ের মৃত্যুতে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন পামেলার মা। কাঁদতে কাঁদতে কোনওক্রমে তিনি বলেন, ‘আপনি কিছু বিচার করুন, আমি থানা, সিআইডি – সব জায়গায় যাব।’ তারইমধ্যে পামেলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বালি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, সানির বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পামেলার পরিচিত লোকজন এবং বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: শীর্ষ নেতাদের অপসারণ চেয়ে আলিমুদ্দিনে চিঠি কান্তি গাঙ্গুলির, দল ছাড়ার জল্পনা