সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে সওয়ার হয়েছিলেন ১০ যাত্রী। বর্ধমান শহরের জিটি রোড ধরে যাওয়ার পথে কার্জন গেট চত্বরে ট্র্যাফিক পুলিশ আটকায় অ্যাম্বুল্যান্সটিকে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক স্বীকার করেছেন যে টাকার লোভে অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন তিনি। অ্যাম্বুল্যান্স চালক, খালাসি-সহ মোট ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ধরা পড়ার পর অ্যাম্বুল্যান্স চালক শিশির কুমার দাস জানান, বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল থেকে বীরভূমের নলহাটিতে এক প্রসূতিকে নামাতে যান। সেখান থেকে তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে যান। অভিযোগ সেখান থেকে ফেরার পথেই জঙ্গিপুরে ১০ জন রাজমিস্ত্রীকে মোটা টাকার ভাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে চাপায় চালক। পথে অন্যত্র সমস্যা না হলেও বর্ধমানের কার্জন গেটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সটি আটকায়। তাতে কোনও রোগী ছিল না। ঠাসাঠাসি করে যাত্রী বোঝাই ছিল। ১০ জন রাজমিস্ত্রী এবং চালক ও খালাসি মিলে মোট ১২ ছিল সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সটিতে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বেশি টিকা পাঠানোর অভিযোগ, বাংলায় পর্যাপ্ত টিকার দাবিতে ফের মোদীকে চিঠি মমতার,
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রসূতিকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা, অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা, প্রসবের পর মা ও শিশুকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তবে তার বদলে অ্যাম্বুল্যান্স চালক যাত্রী পরিবহণ করছিলেন মোটা টাকা ভাড়ায়।
আটক ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অ্যাম্বুল্যান্সটিকেও আটক করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে চাঁদ মহম্মদ নামের এক যুবক বলেন, ‘‘চাঁদের মোড় থেকে ২৫০ টাকা মাথা পিছু ভাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে চেপেছিলাম। আমরা সবাই রাজমিস্ত্রির কাজ করি। আমরা যানতাম না অ্যাম্বুল্যান্সে যাওয়া অপরাধ। বাস না পাওয়াতেই বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে চেপেছিলাম।’’ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather: গোটা বাংলা জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা, দুর্ভোগের আশঙ্কা কলকাতায়