বালির একই পরিবারের ২ বধূর নিখোঁজ রহস্য ভেদ করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মুর্শিদাবাদের ২ রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়েছেন অনন্যা কর্মকার ও রিয়া কর্মকার। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন অনন্যার ৭ বছরের ছেলে আয়ুষকেও। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, ছয় মাস আগে বালি আনন্দনগর সাঁপুইপাড়া এলাকায় একতলা বাড়ির সংস্কারে কাজ করতে এসেছিল দুই রাজমিস্ত্রি। প্রথম দেখাতেই তাঁদের দু’জনকে ভালো লেগে যায় বাড়ির দুই গৃহবধূর। স্বাভাবিক ভাবেই দুই রাজমিস্ত্রিরও দুই গৃহবধূকে পছন্দ হয়। প্রথমে আলাপ তারপর হয় মোবাইল নম্বর বিনিময়ের পালা । ওই দুই রাজমিস্ত্রি যখন বাড়িতে কাজ করছিলেন তখনই প্রথমে দুপুরবেলা বাড়ির কর্তাদের অনুপস্থিতিতে চলতো খুঁনসুটি, পরে প্রেমালাপ। এই প্রেমালাপ বিগত ছয় মাসে আরও গভীর হয়। অবশেষে দুই গৃহবধূ দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা বিজেপির; ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ভাবনা
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে যে দুই পরিচিতের কাছে গিয়েছিলেন অনন্যা এবং রিয়া, তাঁদের নাম সুভাষ ও শেখর। গত ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ শীতের পোশাক কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকে আর সন্ধান মেলেনি বধূ অনন্যা কর্মকার, তাঁর জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশ কর্মকারের। এর পরই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে কর্মকার পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিখোঁজদের শেষ মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ী স্ট্রিট। যদিও সেখানে কারও হদিশ পাওয়া যায়নি। এর পর নিখোঁজদের কল লিস্টের সূত্র ধরেই মিলল সাফল্য।
কল লিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, নিখোঁজ হওয়ার দিন একটি অচেনা নম্বর থেকে বেশ কয়েক বার ফোন এসেছিল কর্মকার পরিবারের বড় বধূ অনন্যার ফোনে। ওই নম্বরটি ছিল সুভাষের। এর পরই রবিবার মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকায় সুভাষের বাড়িতে অভিযান চালায় নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, দুই গৃহবধূ মুর্শিদাবাদে আসার এক দিন পরেই তাঁরা সকলে মুম্বই চলে গিয়েছেন। আপাতত মুম্বইয়ে তাঁদের বর্তমান অবস্থান জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বাণিজ্যনগরীতে একটি বিশেষ দলও পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: KMC Election 2021: ‘পুনর্নির্বাচন হবে না’, বিরোধীদের দাবি খারিজ কমিশনের; হাইকোর্টে বাম-বিজেপি